পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি একটি মহল ইসলামপন্থীদের নারী বিদ্বেষী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, আলেম-ওলামারা কখনোই নারীদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদার বিপক্ষে নন। নিজেদের ইজ্জত-সম্মান ও নিরাপত্তা অটুট রাখার স্বার্থেই ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দা মেনে শালীনভাবে জীবনযাপনের উপদেশ দিয়ে থাকেন। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউনুছ আহমাদ বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সের একজন হাফেজে কুরআন সালেহ আহমাদ তাকরীমের এই বিজয় মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। তার এ গৌরবময় মুসলিম উম্মাহর বিজয়, ইসলামের বিজয়, কুরআনের বিজয়। এ বিজয় এটা প্রমাণ করেছে যে, শত প্রতিকূলতা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার চর্চা থেমে নেই।
বিশ্ববিজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমের শিক্ষক এবং পিতা-মাতাকেও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মুসলিম মা-বাবার কর্তব্য, নিজ নিজ সন্তানকে আবশ্যিকভাবে কুরআন ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। এতে তারা শুধু পরকালেই আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হবেন না, দুনিয়াতেও মর্যাদাবান হবেন এবং তাদের সন্তানরা সৎ ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠার পথ খুঁজে পাবে।
তিনি আরও বলেন, হাফেজ তাকরীমের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ খুশি ও আনন্দিত। তাকরীমের বিজয়ে দেশের মুসলমানরা ইসলামকে হৃদয়ের কতটা গভীর থেকে ধারণ করে তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করব ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজয়ী তরুণ এই হাফেজকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দিয়ে অর্জিত এই বিশাল গৌরবকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন। কেননা, এ বিজয় দেশের, ইসলামের, ১৮ কোটি মানুষের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।