পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে ব্রাজিলে শুল্ক ও কোটামুক্ত রফতানি সুবিধা চায় বাংলাদেশ। দেশটির বাজারে রফতানি বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও উচ্চ শুল্কহারের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কাম্পোজ দা নব্রেগার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডবিøউটিওর সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্রাজিলের কাছ থেকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ এ সুবিধা দিলেও ব্রাজিল এখনো এ সুবিধা বাংলাদেশকে দিচ্ছে না।
তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশ গত বছর ব্রাজিলে ১৩৫.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৯৫২.৩০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ ব্রাজিলের বাজারে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেলে এ বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে প্রধানত চিনি, ভোজ্য তেল, তুলা আমদানি করে থাকে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যসহ বেশকিছু পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। উচ্চ শুল্কহারের কারণে বাংলাদেশ সেখানে প্রত্যাশা মোতাবেক রফতানি করতে পারছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ ব্রাজিলের সমর্থন পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দেবে বলে আমরা আশা করি।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দেয়ার বিষয়টি সহানুভ‚তির সঙ্গে বিবেচনা করবে ব্রাজিল সরকার। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এ জন্য সময় লাগবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো: শফিকুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।