পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ এবং পুলিশের ভেতর থেকে খালি গায়ে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে বিএনপির সমাবেশে যারা বৃষ্টির মতো গুলি করছিল তারা কারা? জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাকশালী ইতিহাসের পুনঃলিখনে নতুন অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। বিচার, প্রশাসন, জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশন সবাই মুখোশের আড়ালে বাকশালী চেতনা ধারণ করে আওয়ামী সরকারের পক্ষে নিরন্তর কাজ করে চলছে। তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহনশীলতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অচেনা করে তুলছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আতঙ্কের মধ্যে নিমজ্জিত। বিরোধী রাজনীতির কর্মসূচিতে সহিংস আক্রমণ কোন গণতান্ত্রিক রীতির আওতায় পড়ে? যদিও গণতন্ত্রের কথা প্রায়শ:ই ক্ষমতাসীনদের মুখে খৈ ফোটে। আমরা আওয়ামী গণতন্ত্রের আরেকটি নমূণা দেখলাম- মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সহিংস তাণ্ডবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিত গুলিবর্ষণ ও গুরুতর আহত করাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার পর পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বুধবার রাত থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার মো. মাসুদ, মুসা ও তোফাজ্জল নেতত্বে ১৫/২০ জনের সাথে তিনজন পুলিশ সদস্যসহ একটি দল ওই রাতে জেলা বিএনপির আহবায়ক আ. হাইয়ের ভাগিনা নিজাম উদ্দিনের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে তার সুতার ফাক্টরিটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়, এই ঘটনায় আনুমানিক ২ থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় সন্ত্রাসী কায়দায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে, যাতে কেউ আগুন নেভাতে না আসে।
তিনি বলেন, রাতভর আওয়ামী লীগের লোকজন পঞ্চসার ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অধিকাংশ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখন বাড়ি ছাড়া। ইতোমধ্যে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য উল্টো হামলার শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে-মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, শহর বিএনপির আহবায়ক এরাদত হোসেন মানু, সদর থানার সদস্য সচিব মুনির হোসেন ও জেলা কমিটির সদস্য আতাউর হোসেন বাবুলসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে। রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত যুবদল নেতা মো. শাওন, মো. জাহাঙ্গীর ও ছাত্রদল নেতা তারেকের অবস্থা আশংকাজনক। তারা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আর আমরা শুনতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ ও তার অংগ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মুন্সীগঞ্জ সদর ও শহরে মিছিল বের করে জেলা ও সদর বিএনপির কার্যালয়সহ বিএনপির নেতা কর্মী-সমর্থকদের শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িতে বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ব্যক্তিকেন্দ্রীক একনায়কতান্ত্রিক শাসনের দুঃসহ পরিণতি এখন গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই দৃশ্যমান। রক্তপাত ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোন অবলম্বন নেই। শেখ হাসিনার শাসনে গণতন্ত্রের অধঃপতন, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ, নির্ভয়ে বসবাসের সুযোগ হরণ নিশ্চিত হয়েছে। এখন নাৎসীবাদের জয়জয়কার বাংলাদেশে।
রিজভী বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলকে চাপের মুখে ফেলতে সরকারের প্রকাশ্য ও গোপন অমানবিক কৌশলের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। স্বৈরশাসকদের ধামাধারীদের পথে পথে প্রতিরোধ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে জনগণের এক প্রবল স্রোত। সেই স্রোতে ভাসিয়ে দিতে হবে এই অবৈধ সরকারকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, বেনজীর আহমেদ টিটো প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।