পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি রমনা বিভাগ। গত বুধবার রাজধানীর উত্তরা, কলাবাগান ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন সাবেক পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। গ্র্রেফতারকৃতরা হলো- গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে শাহীন পুলিশ, মো. শাহাদৎ হোসেন, সাইদ মনির আল মাহমুদ, মো. রুবেল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাডো জিপগাড়ি, ছিনতাই করা নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১টি ওয়াকিটকি, ১ জোড়া হ্যান্ডকাপ, ২টি কালো রংয়ের কটি, ১টি স্টিলের লাঠি, ১টি হাতুড়ি, ১টি প্লাস, ১টি পিস্তল সাদৃশ্য স্পার্কার ও ১টি র্যাত জব্দ করা হয়।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেটের একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাঁতিবাজার থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পাঠাও মোটরসাইকেলে করে নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথে দুই ডাকাত মোটরসাইকেলে করে ব্যবসায়ীকে অনুসরন করে। ভিকটিম বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের মূল প্রবেশ গেটের সামনে আসামাত্র ডাকাতরা জিপগাড়ি দিয়ে ভিকটিমের মোটরসাইকেল বেরিকেড দেয়।
তিনি বলেন, গাড়ির ভেতর থেকে ৩ ডাকাত নেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ভিকটিমকে জাপটে ধরে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ির ভেতরে ভিকটিমকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখে মুখে আঘাত করে। এ সময় ডাকাতরা ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ ২০ লাখ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা ভিকটিমের হাত, পা, চোখ বাধা অবস্থায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাপুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি-ছিনতাই করতো। ডাকাতি করাই তাদের পেশা।
তিনি বলেন, এ চক্রের মূলহোতা গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে শাহীন পুলিশ। তিনি পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০০৮ সালে অনৈতিক কাজে চাকরি হারিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতিতে লিপ্ত হন। তার নেতৃত্বে রাজধানীতে সংঘটিত হয় ডাকাতি। অনেক সময় ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ছিনিয়ে নিতেন শাহীনের লোকজন। কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হতেন, তখন শাহীনের লোকেরা মোটরসাইকেলে তাকে ফলো করতেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে সর্বস্ব লুটে নিতেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।