পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে এবং এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার সকালে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। সন্ধ্যায় হোঁটেল লোটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। গতকাল বুধবার এ বাসসকে এ তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিপো গ্র্যান্ডির সাক্ষাতে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাষানচরে আশ্রিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর-এর বর্তমান কার্যক্রমগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর আরও জোরদার ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে তিনি মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এর প্রত্যুত্তরে হাইকমিশনার বলেন যে, তিনি শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান করা সম্ভব বলে প্রধানমন্ত্রী তার মতামত পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম এ এ খান। তিনি বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান সব প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরকে আশ্বস্ত করেছেন। আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খান আগামী বছরের শুরুতে পুনরায় বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আইসিসি’র প্রসিকিউটরকে আশ্বাস দেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ভিকটিমদের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসি’র চলমান সকল প্রচেষ্টার ব্যাপারে বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এ বৈঠকে খান আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া জাতিসংঘ হ্যাবিটাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনা মোহম্মদ শরীফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এখানে লটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁরা টেকসই নগরায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য তার সরকারের গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফলতার ব্যাপারে তাকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলার আঘাত হানাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে অভিহিত করেন। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে না। তিনি বলেন, ‘সেই নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকাটি খুব আঁকাবাঁকা। কখনও কখনও সীমান্ত বোঝা কঠিন। সে কারণে তারা আমাদের সীমান্তের ভিতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না, আমাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে যে একটি এবং দুটি শেল পড়েছে তা ভুলবশত পড়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সতর্ক থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। তিনি বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ জানতে চেয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় নি। তাই আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।