Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিদ্যুতের ব্যাপারে চাই গণসচেতনতা
প্রতি বছর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক মানুষ। যাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। অনেক সময় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদ্যুৎকর্মীরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হচ্ছে। এ কারণে কেউবা বরণ করছে পঙ্গুত্বকে। এসব থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম। হাটে-বাজারে, পাড়ায়-পাড়ায়, গ্রামে-গঞ্জে এ ব্যাপারে সভা-সেমিনারের মাধ্যমে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রেদ্বওয়ান মাহমুদ
জকিগঞ্জ, সিলেট



এ কেমন শিক্ষানীতি
কর্মস্থল থেকে মাঝেমধ্যে বাড়ি যাই। মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছে। পড়ালেখা অনেক বেশি। ক্লাসের আগে ও পরে প্রাইভেট পড়ে। ছয়টি বিষয়ে। পড়ালেখার ভারে মেয়ে আমার ঠিকমতো নাওয়া-খাওয়া করতে পারে না। আমি গেলে (শুক্রবার) আহ্লাদে ওই দিন আর পড়ালেখা করতে চায় না। পড়তে বললে বলে, বাবা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আর পারি না। আমি বললাম, ছয়টি বিষয়ে প্রাইভেট পড়া লাগে? দু-একটি বিষয়ে যেমন উচ্চতর গণিত অথবা ইংরেজি পড়লেই তো হয়। স্যার ক্লাসে যা পড়ান তা ভালোভাবে খেয়াল করলেই হয়। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে খটকা লাগে তাহলে ওই বিষয়ে স্যারের কাছে ফোন করা যায়। মেয়ে বলল, স্যারে তো পারে না। আমি শুনে অবাক! স্যারেরা পারে না? একটা ভালো স্কুলের (উচ্চ বিদ্যালয়ের) এক শিক্ষককে (বন্ধুকে) জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার স্কুলে মেয়েকে পড়ানো যায় কিনা। সব কথা শুনে এক গাল হেসে বলল, ওইসব বিষয়ে এক্সপার্ট শিক্ষক ছাড়া পড়াতে পারবে না। উল্লেখ্য, আমার মেয়েকে পড়ায় বরিশাল থেকে কলেজের শিক্ষক এসে। আমার প্রশ্ন, জাতীয় পাঠ্যক্রম (কারিকুলাম) যারা তৈরি করেন তারা স্কুল ভিজিট করে দেখুন, কতজন শিক্ষক আপনাদের পাঠ্যক্রম ঠিকমতো পড়াতে পারেন।
এ কেমন শিক্ষানীতি? পড়ালেখা করতে করতে নাওয়া-খাওয়ার সময় পায় না ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষায় থাকতে হবে আনন্দ। শিক্ষায় থাকতে হবে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ। এ বিষয়ে এখন ভাবা উচিত। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রকাশ সরকার
উজিরপুর, বরিশাল



৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীদের নিয়োগ দিন
১৬ জুন ২০১৬ তারিখে সংসদে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি অধিদপ্তর ও দপ্তরগুলোতে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১১টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এই পরিসংখ্যান দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সংসদকে জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর ও দপ্তরগুলোতে ১৩ লাখ  ৮২ হাজার ৩৯৩ জন কর্মরত আছেন। অর্থাৎ সরকারের প্রশাসনযন্ত্র চলছে প্রায় ২০% মানব সম্পদের অভাব নিয়ে। এই প্রশাসন কোনোভাবেই বর্তমান ভিশন ২০২১ পূরণ করতে পারবে না। এদিকে পিএসসির বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ক্যাটাগরিতে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কমপক্ষে ৩০০০ যোগ্য প্রার্থীকে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী সরকারি প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে সুপারিশ করা যাবে। প্রশাসনের এই লোকবলের অভাব পূরণের জন্য সরকারি কর্মকমিশন আন্তরিক। সরকারি কর্মকমিশন মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও মন্ত্রণালয়গুলো শূন্য পদের চাহিদাপত্র প্রেরণ করছে না। সম্প্রতি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সব মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু চাহিদা পাঠিয়েছে। এ অবস্থায় নন-ক্যাডার ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ আমরা আশা করছি, মন্ত্রণালয়গুলো অতি দ্রুত শূন্য পদের চাহিদাপত্র পিএসসিতে প্রেরণ করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়গণ এবং সচিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ মোস্তাইন ইমতিয়াজ
ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন