জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এবং ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. রাহুল মুখার্জি ভারতে গণতন্ত্রের হালচিত্র, বিজেপি সরকার কর্তৃক বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, ভারতব্যাপী শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতি
ইত্যাদি বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল, সক্রিয় সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী মৌলিক প্রতিষ্ঠান-কাঠামো থাকা একান্ত আবশ্যক। আর গণতন্ত্র ছাড়া সামাজিক সংহতি ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বহুভাষা, অঞ্চল আর ধর্মে বিভক্ত ভারতের জন্য তা শুধু আবশ্যকই নয়, একমাত্র অবলম্বন।”
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি অডিটোরিয়ামে অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. রাহুল মুখার্জি। তাঁর প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘ভারতের গণতন্ত্র কী মৃত্যুর পথে?’
অনুষ্ঠানের শুরুতে এশিয়াটিক সোসাইটির
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান অতিথি বক্তা ড. রাহুল মুখার্জির একাডেমিক জীবন-বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের জন্য আলোচনা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. আবদুল মবিন চৌধুরী, ড. শরিফ উদ্দিন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ সেলিম, প্রফেসর রওনক জাহান, প্রফেসর রেহমান সোবহান প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার শেষ হয়। উল্লেখ্য, আগামীকাল ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে অধ্যাপক ড. রাহুল মুখার্জি ধানমন্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে ‘সমাজচিন্তা, প্রতিষ্ঠান-কাঠামো ও বিশ্বায়ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।