পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট নগরবাসীর দুর্ভোগের অপর স্বীকৃত নাম পানিবদ্ধতা। বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় নগরের রাস্তাঘাট। বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি। নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সিসিক। এর মধ্যে ব্যয়ও করা হয়েছে ৫০০ কোটির বেশি টাকা। এরপরও পানিবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না নগরবাসী। বরাদ্দ অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সে কারণে অপরিকল্পিত উন্নয়ন দুর্ভোগ এখন পানিবদ্ধতা। তারপরও সিসিক কর্তৃপক্ষের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তনে নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতা।
একাধিক তথ্যে মতে, লোপাটের বড় খাত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থার প্রধান হাতিয়ার ড্রেন নির্মাণ। সিসিক নিয়ন্ত্রিত একটি ঠিকাদার সিন্ডিকেট এ খাতে লুটেপুটে খাচ্ছে। জবাবদিহিতা ছাড়াই চলছে লুটপাটের প্রতিযোগিতা। সে কারণে পানিবদ্ধতা নিরসনে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার তদন্ত জরুরি ভিত্তিতে করার দাবি সচেতন মহলের। নগরীর ড্রেনগুলো এবড়ো তেবড়ো, অসমান, কোথাও কোথাও একাধিক ড্রেন নির্মাণের চিত্রও রয়েছে, সেই সাথে নিম্নমানের কাজের শেষ নেই। ড্রেন নির্মাণ খাতগুলো তদারকিতে সিসিক নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে মিশে টাকা লোপাট করছে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যও রয়েছে সিসিক জুড়ে।
সিসিক সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এই কাজগুলো তদারকিতে থাকেন অবৈধভাবে নিয়োগকৃত মাস্টার রোলে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলীরা। তারা নিজেরাই অবৈধ, অনভিজ্ঞ। এমন পরিবেশ প্রতিবেশ গড়ে তুলে উন্নয়নের নামে লোপাট হচ্ছে বরাদ্দের অর্থ। সচেতন মহলের দাবি, পানিবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে ব্যয়কৃত অর্থের হিসেব নেয়া জরুরি। এছাড়া নির্মাণখাত গুলোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ তদারকিতে জড়িত প্রকৌশলীদের ব্যাপারে তদন্তের বিকল্প নেই। তাহলে দেখা যাবে পানি নিষ্কাশনের নামে গড়ে তোলা খাতগুলোকে কেন্দ্র করে অর্থ লোপাটের প্রকৃত কাহিনী। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরেও নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে বড় অঙ্কের বরাদ্দ রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
গত সোমবার দুপুরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকার এ বাজেটে নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে নগরে। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এর আগে ১৭ জুলাই মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে একই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী জানান, নগরের পানিবদ্ধতা নিরসনে এর আগেও বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এখানে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু নগরবাসী তেমন সুফল পাননি। তাই আবার বড় প্রকল্প নেয়ার আগে প্রকল্পগুলোর টাকা কীভাবে ব্যয় হলো তা নগরবাসীকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, নতুন করে প্রকল্প গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। না হলে টাকাই শুধু ব্যয় হবে। নগরবাসীর কোনো উপকার হবে না।
গত সোমবার বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, নগরের ছড়া ও ড্রেনের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সেই নদীও ড্রেজিং না হওয়াতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে ঢল নামলে উল্টো সুরমা নদীর পানি নগরের ছড়া দিয়ে ঢুকে এলাকা প্লাবিত করে। এ জন্য নদী খনন, উপশহরে পানির পাম্পিং স্টেশন করা, ছড়ার সংযোগস্থলে সুইচ গেট তৈরি ও ড্রেনের প্রশস্ততা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।