পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধনের প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। গত চার বছরে ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনা দমনে এই আইনের নজিরবিহীন অপপ্রয়োগ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন মনে করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত আইন কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নির্বিচার ব্যবহার বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে দূর্বল করে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সরকার এই আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে। আর্টিকেল নাইনটিন গণতন্ত্রের স্বার্থে এই আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধনের সরকারের প্রতিশ্রæতি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, আর্টিকেল নাইনটিন ২০১৮ সাল থেকেই মতপ্রকাশের অধিকারের পরিপন্থী বলে চিহ্নিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। আইনটির অপপ্রয়োগ হয়েছে স্বীকার করে সা¤প্রতিক সময়ে সরকারের একাধিক মন্ত্রী আইনটির প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্ত বাস্তবতা হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার হচ্ছে অব্যাহত গতিতে।
সর্বশেষ, অনলাইনে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালন করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী এই আইনে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক মাস ধরে কারাগারে আছেন। এই সময়ে তিনবার আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। দুই বছর আগে মামলা দায়েরের সময় তাঁর বয়স ছিলো সতেরো বছর।
ফারুখ ফয়সল বলেন, এই আইনে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মামলার মতো, ওই নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ভিত্তিও নড়বড়ে। একটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে সরকার পতনে উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে; যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জড়ানোর অনুরূপ উদাহরণ দেখেছি, যার মধ্যে ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ’প্রধানমন্ত্রীর মানহানি করার জন্য’ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আর্টিকেল নাইনটিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নারী শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রত্যাহার চায়। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের স্বার্থে এই আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধনের প্রতিশ্রæতি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।