Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে টিআইবি : খাদ্য মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাশিয়া থেকে অস্বাভাবিক দামে গম কেনা হচ্ছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) রোববার যে বিবৃতি দিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি টিএইবির বেশি দামে গম আমদানি’ শিরোনামে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। এখানে ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। জনমনে এ ধরনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা: গম ও চাল ক্রয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয় গণখাতে ক্রয় আইনের কোন লঙ্ঘন করেনি এবং কোনো তৃতীয় পক্ষকে ক্রয় প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেনি। কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদে যে তৃতীয় পক্ষের নাম বলা হচ্ছে, তাদের রাশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে লোকাল এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনো তৃতীয় পক্ষ বাংলাদেশের গম ক্রয়ের নেগোসিয়েশন, মূল্যনির্ধারণ ও নীতি-নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ছিল না। জি-টু-জি কার্যক্রমে সরকার নির্ধারিত কমিটির সদস্যরা (বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন এবং ৪ ঘণ্টাব্যাপী সভায় সর্বসম্মতভাবে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নেগোসিয়েশনের পর খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি ক্রয় কমিটিতে যায়। ক্রয় কমিটি বিস্তারিত আলোচনার পর অনুমোদন দান করে। তারপর খাদ্য মন্ত্রণালয় কার্যাদেশ দেয়। এখানে তৃতীয় কোনো পক্ষের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। টিআইবির ববলেছে, বিশ্ববাজারে পড়তির দিকে থাকলেও ওই পক্ষের মাধ্যমে এই গম কেনা হচ্ছে বেশি দামে। বেশি দামে গম কেনা হচ্ছে তথ্যটি সঠিক নয়। এর আগে সচিবের দেওয়া বক্তব্যই এখানে তুলে ধরা হয়। টিআইবির বিবৃতি: বিতর্কিত প্রডিনটর্গকে কার্যাদেশ দেওয়ার ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা: প্রডিনটর্গ রাশিয়ার গম রপ্তানির জন্য রাশিয়া সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার প্রডিনটর্গকে মনোনীত করেনি। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি জি-টু-জি ভিত্তিতে বাংলাদেশে গম সরবরাহ করে আসছে। রাশিয়া বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে জি-টু-জি কার্যক্রমে অন্যান্য দেশের মতো গম সরবরাহ করে আসছে। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রডিনটর্গ ৩ লাখ টন গম যথাসময়ে নিয়ম মাফিক বাংলাদেশকে সরবরাহ করেছে। ২০২০-২০২১ সালে করোনাকালে ২ লাখ টন সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ ছিল। প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা এক লাখ টন গম সরবরাহ করে। পূর্ববর্তী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রডিনটর্গ ২ লাখ টন গম বাংলাদেশকে সঠিককভাবে সরবরাহ করেছিল। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে প্রডিনটর্গ মোট ৪ লাখ টন গম সঠিকভাবে সরবরাহ করেছে। বিশ্বের কোনো দেশ প্রডিনটর্গ-এর সঙ্গে চুক্তি করে তা বাতিল করেছে কি না বা কেন করেছে, এর বিস্তারিত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় মনে করে সঠিক তথ্য গোপন করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে টিআইবি। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ ষড়যন্ত্র করছে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ