Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজাম হাজারীর এমপি পদের বৈধতা নিয়ে বিভক্ত রায়

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলায় দ্বিধা বিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট আবেদনের ওপর পৃথকভাবে রায় দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তাঁর রায়ে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বেঞ্চের অপর বিচারপতি রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। আইনজীবীরা বলছেন, এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। ওই বেঞ্চেই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।
এর আগে কয়েকবার রায় ঘোষণার তারিখ দিয়েও বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর শুনানি শেষে এই মামলাটি রায়ের জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়।  গত ২৮ নভেম্বর সবশেষ এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ১৯৯১ সালের ২৪ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। ওই তথ্য প্রদানের পর মামলাটি আবার রায়ের জন্য রাখা হয়।
আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। অপরদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন দত্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী। গত ৩০ আগস্ট রায় ঘোষণা শুরু হলেও রায় ঘোষণা স্থগিত রেখে কারাগারে নিজাম হাজারীর রক্তদানের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চায় আদালত। এরপর রায় ঘোষণার তারিখ কয়েক দফায় পেছানো হয়।
প্রসঙ্গত, নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি দৈনিকে ২০১৪ সালে সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা। এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া নিজাম হাজারীর সাজা খাটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তলব করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ