পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, দেশে উগ্রতার ভাব দেখা যাচ্ছে। এটি কিভাবে অতিক্রম করা করা যায়, সে চিন্তা করতে হবে। উগ্রতা পৃথিবীর একপ্রান্তে হলে ক্রমেই অন্য অঞ্চলে সংক্রমিত হয়। তাই আমাদের এটি প্রতিহত করার জন্য সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের সময় ধর্মের কথা বলা হলেও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বিষয়টি তো ধর্মের নয়, তাহলে তাদের কেন উচ্ছেদ করা হলো। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ‘বিজয়া সম্মিলন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানে মৌলিক অনুচ্ছেদে সকলেরই অধিকার সংরক্ষণ করা আছে। বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, যারা অনুন্নত, কম শিক্ষিত তাদেরও স্বার্থ রক্ষিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, যতোই দিন যাচ্ছে, আমরা আমাদের স্বাধীনতার চিন্তা-চেতনা থেকে সরে আসছি। তিনি বলেন, আজকে যে অশান্তির বীজ বপন করছি, তা এখই যদি দূর না করি, তাহলে এটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। প্রকট আকার ধারণ করবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উগ্রতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কিন্তু শুধু বাংলাদেশে না। আমরা আজকে দেখি পাকিস্তানেও। সেখানে কিন্তু ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ আমাদের চেয়ে বেশি। আফগানিস্তানের যেসব এলাকা তালেবানদের দখলে আছে, সেখানে তারা সমাজ-সংস্কৃতি ধ্বংস করে। ইরাকে, ইসরাইলে, সিরিয়াতেও একই অবস্থা পাচ্ছি। এটি আমার মনে হয়, প্রায় সারা পৃথিবীব্যাপী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেষানন্দ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।