Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল সোয়া ২ লাখ ইয়াবা আর অস্ত্র

বাহক থেকে মাদকের ডিলার হতে গিয়ে ধরা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ছিলেন ইয়াবার বাহক। সেইসাথে খুচরা বিক্রেতা। হঠাৎ করে বনে যান ডিলার। মাদকের মজুদ গড়ে তুলে নিজেই খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ দিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ধরা পড়লেন র‌্যাবের হাতে। ইয়াবার আড়তদার খ্যাত মো. আজম উদ্দিন চৌধুরীকে পাকড়াও করে র‌্যাব। পরে তার ঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় সোয়া দুই লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট ও দেশী অস্ত্র। গতকাল রোববার র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ। গ্রেফতার দুইজন হলেন- কর্ণফুলী থানার শাহ মীরপুর এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে ইয়াবার ডিলার মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী ও তার সহযোগী একই এলাকার মো. আব্দুল নুরের ছেলে মো. ছৈয়দ নুর ওরফে রুবেল হোসেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, গত ৪-৫ দিন যাবৎ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার, স্মাগলিং পণ্য-সিগারেটের বিশাল চালান জব্দ করা হয়। সেখান থেকে ইয়াবারও একটি বড় চালান আটক করা হয়। ওই চালানের সাথে জড়িতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর মাদকের ডিলার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের মাদক সম্রাট মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়। তাদের দেখানো মতে, বসতঘরের পাশে একটি গুদাম ঘরে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং পানির নিচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগের ভেতর লুকিয়ে রাখা ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আটক মো. আজম ৫-৬ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় সে ইয়াবা সরবরাহের কাজ করতো। পরবর্তীতে ইয়াবার বড় চালান পেয়ে বসতঘরের টিনশেড বেষ্টিত একটি ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রেখেছিল। সে ইয়াবা এবং দেশিয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মাটি চাপা দিয়ে মজুদ করে রাখতো। পরবর্তীতে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করতো।
র‌্যাব-৭ অধিনায়ক জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহার করতো। অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাঁশখালীর অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ ও ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বলে স্বীকার করেছে। আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাগর পথে মিয়ানমার থেকে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেছিল। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তাদের কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ