পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বাজারে এবার মার্কিন মুদ্রা ডলারের গড় ক্রয়মূল্য কমেছে। নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে বিক্রির ক্ষেত্রেও। গতকাল রোববার আন্তঃব্যাংকে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য কমেছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। বাজারের জোগান ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। এ দরে ডলারের ক্রয়মূল্য কমেছে। একই সঙ্গে কিছুটা কমেছে বিক্রয়মূল্যও।
বর্তমানে ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা। একইভাবে ডলারের বিক্রয়মূল্য কমেছে ১৫ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে গত বুধবার ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা। সেদিন ডলারের গড় ক্রয়মূল্য বাড়লেও বিক্রি করা হয় আগের দামেই অর্থাৎ ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে গত বৃহস্পতিবার ৪ টাকা ৫৩ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা।
গতকাল ডলারের বিক্রয়মূল্য ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা কমে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর গড় ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা, যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা। সে হিসাবে ডলারের গড় ক্রয়মূল্য কমেছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
নতুন আন্তঃব্যাংকের এ দর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচা করবে। আর ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা, আর রফতানি আয়ে ৯৯ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বাফেদার নির্ধারিত দরে ব্যাংকগুলো নিজেরা লেনদেন করছে। বাফেদার রেট আন্তব্যাংক লেনদেন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তঃব্যাংকের রেট বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রয়ের রেট হবে না। তবে সবকিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদারকি করবে।
এদিকে খোলাবাজারে নগদ ডলারের সঙ্কট কাটছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগদ ডলারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় কেনাবেচা কমেছে। একই সঙ্গে দামও বেড়েছে ডলারের। মানি এক্সচেঞ্চগুলোর অবস্থাও অনেকটা একই রকম। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলার বিক্রির চেয়ে কেনাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিক্রেতারা। মূলত নগদ ডলারের সংকট থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৪ টাকা ২০ পয়সায়। পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল এলাকার খুচরা ডলার বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই ডলারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এখন ডলার সরবরাহ নেই তেমন।
তবে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হলেও অনেক হাউজেই নগদ ডলার নেই। বিক্রেতারা বলছেন, ডলার কেনাবেচার তালিকা আমরা দিয়েছি। ডলার পেলে ১০৭ টাকায় কিনবো, আর বিক্রি হবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায়। বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রতি ডলার ১০৭ টাকায় কিনছি ও ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছি। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ যাতায়াত কমে যাওয়ায় ডলার লেনদেন অবস্থা হতাশাজনক। খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা নেই বললেই চলে।
এদিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায়, বিদেশ থেকে কেউ দেশের মাটিতে পা রাখলেই তাকে ঘিরে ফেলছেন বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মংকর্তারা। ডলার নামক সোনার হরিণ সঙ্গে আছে কিনা জানতে চাচ্ছেন তারা। ডলার কিনতেও বেশ আগ্রহ তাদের। বিমানবন্দরের এই দৃশ্য দেখলে বর্তমানে দেশে ডলারের সঙ্কট কোন অবস্থায় আছে তা স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।