পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনুমোদনহীন চকলেট বিক্রি করার দায়ে সুপার শপ আগোরার গুলশান শাখাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে সর্তক করা হয়েছে। গতকাল রোববার গুলশানের আগোরা সুপার শপে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং রজবী নাহার রজনী। অভিযানে দেখা যায়, ‘নেসলে ক্ল্যাসিক’ নামে বাংলাদেশে উৎপাদিত চকলেটের মোড়কে বিক্রয়মূল্য লেখা নেই। বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন থাকলেও লাইসেন্স নম্বর নেই। এছাড়া আগোরার গোডাউনে গিয়ে দেখা যায়, তারা খোলা চকলেট সংগ্রহ করছে। এসময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন ভোক্তা কর্মকর্তারা। পরে কর্মকর্তারা জানতে চান, খোলা চকলেট কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আগোরার গুলশান আউটলেটের ম্যানেজার মফিজুর রহমান মোল্লা।
মফিজুর রহমান বলেন, আমরা যে খোলা চকলেট বিক্রি করি এবং খোলা চকলেটের পাশে যে প্যাকেট রেখেছে, চকলেটগুলো সেই প্যাকেটের কি না এটা জানতে চেয়েছেন ভোক্তার কর্মকর্তারা। আমরা সাপ্লাইয়ারের মাধ্যমে এসব খোলা চকলেট সংগ্রহ করি। এগুলো কোন প্যাকেটের এ বিষয়ে আমরাও নিশ্চিত নই। এছাড়া এসব চকলেটের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং মূল্য লেখা নেই। এছাড়া বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন, লাইসেন্স নম্বর ছিল না। এটা আমাদের ভুল হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের যে জরিমানা করা হয়েছে তা আমরা মেনে নিয়েছি। ভবিষ্যতে ভুলগুলো শুধরে নেবো।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, আগোরা খোলা চকলেট বিক্রি করছে। আমরা এসে দেখলাম খোলা অবস্থায় এ সুপার শপে চকলেট সরবরাহ করছে। আমরা হাতেনাতে ধরেছি। চকলেটে বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন ছিল না। চকলেটের প্যাকেট খোলা অবস্থায় ছিল। প্যাকেটজাত অবস্থায় না। এই চকলেটগুলো এসব প্যাকেটের কি না এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আউটলেটের ম্যানেজারও এ বিষয়টি জানাতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, এসব বিদেশি চকলেট যদি দেশেই তৈরি হয় তাহলে তো সম্পূর্ণটাই ভেজাল। যদি এসব চকলেট কেউ খায় তাহলে যে কোনো ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে আগোরার থেকে বলা হচ্ছে-এগুলো বিদেশি। তবে যথাযথ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।