পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ম্যাগনেটিক কয়েনের লোভে প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে ৭৫ লাখ খুঁইয়েছেন ঢাকার এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার ধানমন্ডি থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এরা হলেন -মো. ইউসুফ আলী, মো. খবির চৌকিদার, মো. শামীম, মো. নাসির উদ্দিন আকন ও মো. জসিম গাজী। তাদের কাছ থেকে কথিত ১০টি ম্যাগনেটিক কয়েন জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, কারওয়ান বাজারের এক পরিচিত ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হয় কয়েকজন ম্যাগনেট কয়েন কারবারির। ভুক্তভোগীকে তারা নিজেদের কাছে থাকা একটি বিশেষ কয়েনের কথা জানান। তাকে বলা হয়, কয়েনটি কিনে বিক্রি করতে পারলে তিনি বহু অর্থের মালিক হতে পারবেন। তাই খরচ করেন ৭৫ লাখ টাকা। কয়েন আনতে গিয়ে তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। ঢাকায় ফিরে মামলা দায়ের করেন খিলক্ষেত থানায়। মামলা তদন্তে নামে ডিবি। ডিবি জানায় প্রতারক চক্র ভূক্তভোগীকে আশ্বস্ত হতে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ এলাকায় মিন্টু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। যিনি নিজেও কয়েন কিনেছেন বলে জানানো হয়। মিন্টুর সাথে দেখা করতে গিয়ে ভূক্তভোগীর পরিচয় হয় ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ নামে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে। পরে তাদের দুজনকে পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় কথিত ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীরা। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ম্যাগনেট কয়েন কিনতে উৎসাহিত করেন ইউসুফ। তিনি ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যাগনেট কয়েন সম্পর্কে তার ধারণা থাকায় ভুক্তভোগীর আস্থা হয়। পরে গত ২৮ আগস্ট মিন্টুর দেওয়া ঠিকানায় কয়েন কেনার জন্য নগদ ৭৫ লাখ টাকা টাকা পরিশোধ করেন ওই ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে টাকা নেন ইউসুফ আলী, খবির চৌকিদার, শামীম, নাছির, জসিম ওরফে জুয়েল। আসলে পুরোটাই একটি প্রতারক চক্র।
টাকা পাওয়ার কয়েকদিন পর ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ভুক্তভোগীকে কল করে বরিশাল যেতে বলেন। ৩ সেপ্টেম্বর ইউসুফকে সঙ্গে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে ভুক্তভোগী বরিশাল যান। হোটেল রুমে থেকে ইউসুফ কয়েন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা আসছি আসছি বলে রাত পার করেন।
পরদিন ভুক্তভোগীকে হোটেলে রেখে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ম্যাগনেট কয়েনের মালিকদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যান। তকণই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ঢাকা ফিরে আসেন ভূক্তভোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।