Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর সফরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয়দের সম্মাননা দেয়া হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সব ভারতীয় যোদ্ধাদের সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ। চলতি মাসে ভারত সফরকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মাননা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আলোচনা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে শর্তহীন এবং সার্বজনীন সমর্থন দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে যে অনুভূতি ও সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ছিল, যে আবহ ছিল, তা এখনও অব্যাহত রাখতে হবে। সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও একটি যৌথ সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের দু’দেশের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ৬ ডিসেম্বর শুধু বাংলাদেশের জন্যেই নয়, ভারতের জন্যও আনন্দের। কেননা এ দিনই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে শুধু বাংলাদেশেরই ৩০ লাখ মানুষই নয়, ভারতের  সৈন্যরাও জীবন দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।  শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে বলেই দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সম্ভব হয়েছে। দুই দেশের উন্নয়নের জন্যেই আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ভারত বাংলাদেশের গ্রেটেস্ট ফ্রেন্ড। আর সবচেয়ে বড় শত্রু পাকিস্তান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ইন্দিরা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তা ভেঙে ফেলেন। সেখানে শিশু পার্ক করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই বন্ধুর সম্মানে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার কন্যা ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ। নির্মুল কমিটির উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ