Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দ্বিতীয় রিয়েক্টর বসবে অক্টোবরে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিয়েক্টর বসবে অক্টোবরে। রূপপুরে ফুকুশিমার মতো ঘটনা ঘটলেও দুর্ঘটনা ঘটবে না। কোর ক্যাচার থাকায় গ্যাস ফেটে বের হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থাপিত ইয়াফেস ওসমান।

গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার সভাকক্ষে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশে পরমাণু শক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারটি আয়োজন করেন, এটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এআরবি)।
মন্ত্রী বলেন, ফুকুশিমার পর কোরক্যাচার টেকনোলজি যুক্ত করা হয় রূপপুরে। এটি না করলে অনেক খরচ কম হতো, আমরা অনেক খরচ করে কোরক্যাচার বসিয়েছি শুধু জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। তিনটি প্রথম শ্রেণি না থাকলে এখানে কোন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়নি। কোন ঘুষ ছাড়া ১০ হাজার লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের ছেলেগুলো শূন্য থেকে দেখছে, দক্ষ হয়ে উঠছে। আমার একটি ভয় হচ্ছে তেলে ভাসা মধ্যপ্রাচ্যে যখন পরমাণু বিদ্যুতে ঝুঁকে যাচ্ছে। আমরা ছেলেদের ধরে রাখতে পারি কি-না! বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে আমাদের শ্রমিকদের মর্যাদা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, করোনার সময় অনেকে বললেন, এটির নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তারা বললেন এই টাকা ভর্তুকি হিসেবে জনগণকে দিতে। তারা একবারও চিন্তা করলেন না। এখানে ২০ হাজার লোক কাজ করে প্রতিদিন। যদি ৫ জন করে পরিবারের সদস্য বিবেচনা করেন তাহলেও ১ লাখ লোককে খাবার যোগাচ্ছে। এটি যদি বন্ধ করে দিতেন তাহলে কি হতো। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ যোগান দিচ্ছি। কম খরচে বিদ্যুৎ পেতে হলে পরমাণুর বিকল্প নেই। আমরা সেই কাজটিই করছি। এটাকে নিজের দেশ, নিজের প্রকল্প, নিজের গর্ব হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হবে যদি প্রকল্পটা শেষ করে যেতে পারি। আমি মন্ত্রণালয়ের চেয়ে পিডি অফিসে বেশি সময় দেই। ইন্টারনেটে গেলে দেখবেন, অন্যান্য প্রকল্প হালকা তথ্য দিচ্ছে, গভীর তথ্য দিচ্ছে না কেউ। এটা জাতীয় স্বার্থ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, আমাদের চিকিৎসা সেবায় পরমাণু বিজ্ঞান দারুণভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্যান্সার ও থাইরয়েডের মতো জটিল রোগ চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কমিশনে যাওয়ার ২ বছর পর থেকে রিপ্রেমেন্ট শুরু হবে। পরিশোধ হবে ৬০ বছর ধরে। এরপরও ২০ থেকে ৩০ বছর সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক, অনেক এজেন্সি মনিটরিং করছে। নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি থাকলে কমিশনিং করার সুযোগ থাকবে না।
রূপপুর পারমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, রূপপুর পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন রকম বিকিরণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। এনার্জি সিকিউরিটি এখন রাষ্ট্রীয় সিকিউরিটির সমান। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করবে। আমাদের গ্যাস ফুরিয়ে আসছে, গ্যাসের বিকল্প হিসেবে নিউক্লিয়ারের বিকল্প নেই। বিনিয়োগসহ সবকিছু বিবেচনায় ড. শফিকুর রহমান ইউনিট প্রতি খরচ ৪.৫০ থেকে ৬.৫০ টাকা সম্ভাবনার কথা বলেছেন। রূপপুরে খরচ এর চেয়ে বেশি হবে না। এআরবি সভাপতি আরিফুর সাজ্জাতের সভাপতিত্বে সেমিনারটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন্নাতুন নূর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ