Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দেশে হিন্দু আইন নিয়ে চক্রান্ত চলছে : সনাতন পরিষদ

ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে হিন্দু আইন পরিবর্তণের চক্রান্ত চলছে এবং প্রচলিত হিন্দু আইনের পরিবর্তন বা সংস্কারের প্রয়োজন নেই। হিন্দু আইন সংস্কারের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট সম্মিলিত সনাতন পরিষদ এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
‘হিন্দু আইন সংস্কারের নামে হিন্দু ধর্মীয়, তথা শাস্ত্রীয় বিধিবিধান-সংবলিত পারসোনাল ল পরিবর্তন বা সংস্কার করার চক্রান্ত’-এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয়, হিন্দুসম্প্রদায়ের বিয়েতে এক পুত্রের সমান সম্পত্তির অর্থমূল্য কন্যাকে উপঢৌকন হিসেবে দেয় তার পরিবার। আবার মৃত স্বামীর সম্পত্তির মালিক হতে পারেন স্ত্রী। এ অবস্থায় প্রচলিত হিন্দু আইনের পরিবর্তন বা সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় সনাতন সম্প্রদায়ের আরেকটি অংশ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ সনাতন হিন্দু আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। সংগঠনটির নেতারা বলেছিলেন, দেশের প্রচলিত হিন্দু আইনে নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। সনাতন ধর্মে ছেলেরা বাবার সম্পত্তি পেলেও মেয়েরা পান না।
সম্পত্তিতে হিন্দুসম্প্রদায়ের নারীদের নিরঙ্কুশ উত্তরাধিকার না থাকা, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও অধিকার না থাকা, শত নির্যাতনেও বিচ্ছেদের বিধান না থাকার মতো বৈষম্য দূর করতে দেশে প্রচলিত হিন্দু আইনগুলো সংস্কারের দাবি করেছিলেন তারা। ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথও হিন্দু আইন সংস্কারের পক্ষে মত দেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্যে সনাতন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, তথা পারসোনাল ল বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করা হলে হিন্দু নারী ও হিন্দু সম্পত্তি উভয়ের বিপদাপন্নতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। সরকার ও সুবিধাভোগী মহলটি অতি উৎসাহী হয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তনে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত না হয়, তাহলে তারা যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, দেশের হিন্দুসম্প্রদায়ের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেসব সমস্যার সমাধান না করে সরকার ও একটি মহল হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে ওঠেপড়ে লেগেছে। এ সময় বক্তব্য দেন আইনজীবী জে কে পাল, প্রবীর হালদার, চৈতালী চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি দে প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ