পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক অর্থনীতির দুরাবস্থার কারণে দেশে ডলার সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েকদিন বিরতি নিয়ে আবারও বাড়ছে দাম। তবে খোলাবাজারে বাড়তি দামেও নগদ ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করেন সাব্বির আহম্মেদ। ডলারের রেট জানতে চাইলে তিনি জানালেন, ডলার নাই, কেউ বিক্রি করলে ১১৩ টাকা ৫০ পয়সা রেট দেব। আরেক বিক্রেতা জামান বললেন, ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা রেট।
ফকিরাপুল একটি মানি এক্সচেঞ্জের কর্মী মাহমুদ। তিনি জানান, আজকে ডলার নেই। কেউ কিনলে ১১৪ টাকা দিতে হবে। তাও ১ ঘণ্টা লাগবে। কারো কাছ থেকে এনে দিতে হবে। যদিও তার তালিকার ডলার বিক্রির রেট লিখা আছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল খোলাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ডলার কেনার ক্ষেত্রে ১০৭ এবং বিক্রির ক্ষেত্রে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে অধিকাংশ এক্সচেঞ্জ হাউজ। কিন্তু তাদের কাছে কোনো ডলার নেই। বিভিন্ন মানিচেঞ্জার ঘুরে ফকিরাপুলের মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের এক প্রতিনিধি জানান, ডলার পাওয়া যাবে তবে অন্য হাউজ থেকে এনে দিতে হবে। এর জন্য গুণতে হবে বাড়তি টাকা। সোহেল হোসেন নামের ওই কর্মী জানান, আমরা ১১২ টাকা ৫০ পয়সাতে ডলার কিনছি এবং বিক্রি করছি ১১৩ টাকা ৪০ পয়সা দরে।
পল্টনের বায়তুল মোকাররম মার্কেট এবং গুলশানসহ বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১১৪ থেকে ১৬ টাকা দরে ডলার বিক্রি করছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা কম, তাই সঙ্কট। তবে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। যারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সতর্ক করেছি।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চলমান সঙ্কট কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তাতে সুফল মিলছে না। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে স¤প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা এবং রফতানি বিল নগদায়নে ৯৯ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়। আর রফতানি বিল নগদায়ন ও রেমিট্যান্সের যে গড় দর দাঁড়াবে, তার সঙ্গে ১ টাকা যোগ করে আমদানি দায় নিষ্পত্তি করবে ব্যাংক।
এর আগে, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের আন্তঃব্যাংক লেনদেনের মূল্য পরিবর্তন করে। সরকারের বিভিন্ন আমদানির বিলসহ বাজারে ডলার সরবরাহ ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে রেটে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করতো, এতোদিন সেই রেটই প্রকাশ করছে। এটাকেই আন্তঃব্যাংক ডলার রেট বলা হতো। তবে তা পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দর ‘নয়’, ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেন করা ডলারের দর প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘টাকার বিনিময় মূল্য’ অংশে বলা হয়েছে, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবং বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক লেনদেন এবং গ্রাহক লেনেদেনের জন্য টাকার বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন এটা আর নির্ধারণ করবে না। সে অনুযায়ী ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য গত বুধবার সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা দেওয়া আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।