পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দিল্লি সফরে গিয়ে বিদ্যুৎ কেনার নামে ভারতের আদানি গ্রæপকে যে টাকা দিয়ে এসেছে সেটা কিসের টাকা? ভারতের নেতাদের আগামী নির্বাচনের খরচ হিসেবে আদানি গ্রæপের মাধ্যমে টাকা দিয়ে এলেন? গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. অলি আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে আদানির সঙ্গে কয়েকটা চুক্তি করে এলো। এটা দিয়ে নাকি কয়েকটা পদ্মা সেতু এবং কয়েকটা ট্যানেল বানানো যেত। তাহলে আদানিকে কী দিয়ে আসলো? দেশটা আদানির কাছে বিক্রি করে দিয়ে আসলো। ভারতে যারা রাজনীতি করে তাদের নির্বাচনের জন্য ফাইন্যান্স করে দিয়ে আসলো আদানির মাধ্যমে। অর্থাৎ ভারতের নির্বাচনের টাকা আদানির মাধ্যমে দিয়ে আসলেন প্রধানমন্ত্রী?
ড. অলি বলেন, আমাদের সবার দায়িত্ব দেশটাকে রক্ষা করা। তাই নতুন প্রজন্ম, ছাত্রছাত্রী এবং সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নামতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। ১৯৭১ সালে যেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করেছিলাম, ঠিক সেইভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে নামতে হবে। তিনি আরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত না আমরা ঐক্যবদ্ধ না হবো ততদিন পর্যন্ত আমরা অত্যাচারিত হবো। প্রথমে রাজনীতিটা সঠিক পথে আনতে হবে। সঠিক পথে আনতে হলে বর্তমান সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে সেগুলো সঠিক পথে আনতে হবে। যেসব কর্মকর্তা (আমলা-পুলিশ) এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করেছেন তাদের তালিকা করছি আমরা। তাদেরকে আগে জেলে ভরতে হবে। সরকারি চাকরি থেকে যারা অবসরে গেছেন তাদের পেনশন বাজেয়াপ্ত করতে হবে। কারণ তারা জাতীয় শত্রæ, এরা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন।
এলডিপি সভাপতি বলেন, শুনতেছি বর্তমান অনির্বাচিত সরকার (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন নয়, আগে জান বাঁচানোর প্রস্তুতি নেন। আজকে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন যদি সবাই বিএনপি পাশে বসে তাহলে ওরা (ক্ষমতাসীন দল) জান বাঁচানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না। সেই সময়ও আসবে। পৃথিবীতে যত স্বৈরাচার ছিল তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। এখানেও এদের (বর্তমান সরকার) হবে।
এলডিপির বলেন, বিগত সরকারের বিরুদ্ধে এই সরকার অনেক দুর্নীতির কথা বলেছিল। কিন্তু গত ১৩ বছরে একটা মিথ্যা মামলা ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আর তো কোনো মামলা করতে পারেনি। আর তো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ করতে পারেনি। যত দুর্নীতি হয়েছে গত ১৩ বছরে। আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছিল এই দুর্নীতি করার জন্য।
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্য’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের সহসেক্রেটারি আবদুল হালিম, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ আদনান এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।