Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগে কাঠের মই

সড়ক না থাকায় কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ

আবুল হাসান সোহেল/ ইকবাল হোসেন কালকিনি (মাদারীপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মাদারীপুরের কালকিনিতে ৪ কোটি টাকা খরচে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় দুইটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা মানুষদের কথা ভেবে দ্রæত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার দাবি স্থানীয় জনসাধারণের। তবে, কর্তৃপক্ষ বলছে দ্রæতই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার কাজ করা হবে।
মাদারীপুর কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মিয়ারহাট বাজারের পাশেই আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা খালে চরদৌলতখান ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ‘অনুর্ধ্ব একশ মিটার ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩’শ ৭৬ টাকা খরচে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের সাথে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ারহাট বাজারের পাশের খালটিতে এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল অবকাঠামো গত বছরই নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়। এতে দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় কাঠের মাচা করে চরম দুর্ভোগ নিয়ে বাধ্য হয়েই চলাচল করছে।
পঞ্চাশোর্ধ আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বললেন, তিনি মোক্তারহাট এলাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের দুইদিন মিয়ারহাটে মালামাল বেচাকেনা করতে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটির কাঠের মাচা বেয়ে উপরে উঠতে খুব কষ্ট হয়। তাই এখন সপ্তাহে মিয়ারহাটে একবার আসেন।
মিয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা বললেন, ব্রিজের গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় আমাদের ব্রিজে উঠতে খুব কষ্ট হয়। আমারই খুব কষ্ট হয়। আর যারা বুড়া মানুষ তাদেরতো আরো বেশি কষ্ট হয়।
মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বললেন, মাটি থেকে ব্রিজের উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটের মতন। তাই ব্রিজ দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় বলে অনেকে ঠিকমত স্কুলে আসতে চায় না। শুধু এরাই নয়। এই এলাকার অনেক মানুষই সেতুটিতে সংযোগ সড়ক না করায় চলাচলে দুর্ভোগের কথা জানালেন।
ব্রিজের সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ করা হচ্ছে না জানতে চাইলে কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বললেন, আমি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। যতদ্রæত সম্ভব এই ব্রীজের দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আশা করছি চলতি মাসেই আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দেব। এরপর থেকে এই এলাকার মানুষের চলাচলে আর সমস্যা হবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ