Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

একি কথা শোনালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ভেবে লাভ নেই!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

‘আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ভেবে লাভ নেই?’ এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম! এ খবর দিয়েছে ভারতের কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার। পত্রিকাটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বরাদ দিয়ে বলা হয়, তিনি (শাহরিয়ার আলম) বলেছেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন ঠিকই! কিন্তু তিনিই আবার বলেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল শান্ত রয়েছে। ফলে ও নিয়ে ভেবে লাভ নেই।

এদিকে গতকালই আনন্দবাজার পত্রিকা খবর দিয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নীতিগত ভাবে এই আমন্ত্রণ স্বীকার করেছে কেন্দ্র (মোদি সরকার)। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এবার রাজ্যগুলোর সঙ্গে কথা বলে সফরের তারিখ স্থির হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে বসবে যৌথ নদী কমিশনের পরবর্তী বৈঠক।

ভারতের ওই প্রভাবশালী বাংলা দৈনিকের খবরে বলা হয়, গত শনিবার ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি আলোচনা চক্রে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়র আলম। তার কথায়, ‘ভারতের ডোনার (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক খুবই আশাব্যঞ্জক হয়েছে। আমরা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের তিন দিনের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’

তার কথায় (প্রতিমন্ত্রী), আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন ঠিকই! কিন্তু তিনিই আবার বলেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল শান্ত রয়েছে। ফলে ও নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথায়, বাণিজ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও কথা হবে তাদের সঙ্গে।

শেখ হাসিনার ভারত সফরকে সাম্প্রতিককালের মধ্যে ‘সেরা’ বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী। তার বক্তব্য, ‘২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সব ভারত সফর এবং শীর্ষ বৈঠকে আমি প্রতিনিধি হিসাবে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এবারের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ কোভিড থেকে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলেছে। কিন্তু আমার মতে, এই সফর সফলতম। ৭টি চুক্তিপত্র সই এবং ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের যা প্রয়োজন আমরা করব। এই ভাষায় তাকে বলতে আগে আমরা শুনিনি।’ ভুটান এবং নেপালে ভারতের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভাবে পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টিকে ঢাকার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করছেন তিনি। শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জয়পুর থেকে আজমির যাওয়ার রাস্তাই বলে দিয়েছে সম্পর্কের গভীরতা কতটা। রাস্তা জুড়ে মৈত্রীর প্ল্যাকার্ড। লাখ লাখ মানুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন, সংযুক্ত হতে চেয়েছেন।’

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের অন্যান্য প্রদেশ থেকে পণ্য রফতানি যেমন সহজতর এবং কম খরচ সাপেক্ষ হল, তেমনই তা বাংলাদেশের জন্যও লাভজনক। বাংলাদেশ থেকেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সরাসরি বাণিজ্যের যে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ যেমন বাড়াবে, তেমনই বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও কার্যকর হবে। চা, সুতি, সিনথেটিক কাপড়, বিভিন্ন কৃষিপণ্য বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আমদানি করতে পারবে সহজেই। আবার বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, সুতির চাদর, সোয়াবিন তেল বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সরাসরি রফতানিও করতে পারবে।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর পানি বণ্টন নিয়েও আশাবাদী ঢাকা। শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘গঙ্গাচুক্তির পঁচিশ বছর পরে আবারও একটা পানিবণ্টন চুক্তি (কুশিয়ারা) হল। বারো বছর পর যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকও হল। এর ফলে একটা নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। আমাদের কাজ একে ধরে রাখা। কারণ আগের গতিতে চললে ৫৪টি নদীর সমাধান করতে কয়েকশো বছর লেগে যাবে! আমরা ছ’মাসের মধ্যেই আবার নদী কমিশনের বৈঠক করব।’



 

Show all comments
  • Mir Aminul Islam ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৬ এএম says : 0
    আসামের মূখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বাংলাদেশকে ভারতের সাথে মিশে যাওয়ার জন্য নসিয়ত করেছেন। তার এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানাই। সরকারী পর্যায়ে তার এই অনাকাংখিত ও আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য প্রতিবাদ জানানো উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mafizur Rahman Dablu ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের দিকে চোখ দিবি না, তাহলে চোখ কিন্তু কপালে নিচে থাকবে না, উপরে তুলে দিব।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Hannan ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    উনি আমাদের কে চিনে না, আমরা বীরের জাতী, আমাদের দিকে হাত বাড়ানো তো দূরের কথা, বাকা চোখে তাকালেই খবর আছে, এ সমস্ত আবর্জনা ভারতের মত রাষ্ট্রে কি করে দায়িত্ব শীল পদে আসীন হয়েছে ভাবতে কষ্ট লাগে, যে ভারতে জন্ম নিয়েছে মহত্মা গান্ধী , নেতাজি সুভাষ বোস , ইন্দ্রারা গান্ধীর মত নেতা/ নেএী সে দেশে এরা তো নদ্রমায় যায়গা পাবার কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mafizur Rahman Dablu ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের দিকে চোখ দিবি না, তাহলে চোখ কিন্তু কপালে নিচে থাকবে না, উপরে তুলে দিব।
    Total Reply(0) Reply
  • Abroo Abedin ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র লাল সবুজের পতাকা দিয়ে আবৃত বাংলাদেশের পতাকা সবচেয়ে উঁচু স্থানে থাকবে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Zahidur Rahman ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    তারা জানেন বাংলাদেশের সরকার যারা পরিচালোনা করছেন তাঁরা মেরুদণ্ড হীন। এর প্রতিবাদ করতে পারবে না।
    Total Reply(1) Reply
    • MGR ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৪৭ এএম says : 0
      তারা এমন চশমা চোখে ব্যাবহার করেন যা দিয়ে সব দেখা যায় না, আবার এমন হেডফোন ব্যাবহার করেন যা দিয়ে সব শোনা যায় না- তাদের এগুলো আবিষ্কার হয়েছে ইংরেজ আমলে তারা যেন পরগাছা

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ