পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবীজুড়েই সংবাদপত্র শিল্পে পুঁজিবাদের আগ্রাসনের কারণে সত্য প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, এ অবস্থায় সংবাদকর্মীদের সমবায়ী মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা গেলে, সত্য প্রকাশের সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ইস্কাটন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং বাংলাদেশ: সাম্প্রতিক বিষয়াবলী’ কর্মশালায় দেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্থনৈতিক রিপোর্টাররা অংশ নেন। ড. আবুল বারকাত বলেন, কোভিড পরবর্তীসময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এখন যে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, এর জন্য ভাইরাস ও ইউক্রেনে রুশ হামলাকে দায়ী করা হলেও বিশ্বের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পালাবদল শুরু হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির ভরকেন্দ্র ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এশিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রভাব কতটা এবং প্রভাবের কারণে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কতটা, কিংবা পরিবর্তন হলে তার সম্ভাব্য রূপ কেমন হতে পারে- সেসব নিয়ে অনুসন্ধানী, বিশ্লেষণধর্মী ও সত্য প্রতিবেদন করা গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে।
অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশার অন্যতম হচ্ছে সাংবাদিকতা। আর সমাজের সামগ্রিক বিষয়াদি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই সত্যি হোক আর মিথ্যা হোক, প্রকৃত ঘটনা নীতি-নৈতিকতা মেনে নিরপেক্ষভাবে সমাজের সামনে তুলে ধরাই সংবাদকর্মীদের প্রধান কর্তব্য।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসফের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ। তিনি বলেন, মোট শ্রমজীবীদের মানুষের ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে নিয়োজিত। এজন্য তাদের ভাগ্যোন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাদের বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব। এতে করে জাতীয়ভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন সহজতর হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।