Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সরকার ও মিল মালিকরা প্রতিপক্ষ নয় : খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় ও কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানে না। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোনো প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে, মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেওয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না। এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ছয় টাকা চালের দাম বৃদ্ধির করা হয়েছে। সাধন চন্দ্র বলেন, চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেননি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন, তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না। সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেওয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১১টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়। বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক। সে কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন না আটটি রাইস মিল করার জন্য ডেনমার্ক আমাদের দেশে এসেছে। তাদের শুধু জমি দিতে হবে। তাদের সঙ্গে একটা চুক্তি করতে হবে, তারা যে উৎপাদন করবে এর ৫০ শতাংশ চাল সরকারকে দেবে। সরকারি রেটেই চাল দেবে তারা। পুরো অর্থায়ন তাদের। এ আটটি মিল হলে আমাদের এতগুলো মিল মারা পড়ে যাবে।
সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলি খান খসরু বলেন, আমাদের দেশের বাজারে মিনিকেট নামে চাল নেই। অনেকে বলেন, মিলাররা চাল কেটে সরু করেন। এটা সত্য নয়। চাল সরু করতে গেলে ভেঙে যায়। তবে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে পোলিশ করে চকচকে করা হয়। এসময় তিনি ধান চালের দাম নির্ধারণে মিলারদের প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ জানান।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, মিলারদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোক্তাদের কাছে জানিয়ে দিতে হবে যে মিলগেটে আজ কত টাকা দামে চাল বিক্রি হলো। তাহলে খুচরা বিক্রেতা যে দাম বাড়ানোর জন্য মিলারদের দোষ দেয় সেটা থেকে মিলাররা মুক্তি পাবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ