পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হাঙ্গেরিগামী প্রধানমন্ত্রীর উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় কর্মচারীদের নয়, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে দায় নিতে হবে বলে দাবি করেছেন এমপিরা। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা কর্মচারীদের নয়, মন্ত্রীকেই দায় নিতে হবে এমন দাবি করেন।
আলোচনার সূত্রপাত করে ঢাকা-৬ আসনের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিমানমন্ত্রী কেন দায় নেবেন না? উনি হয়তো বলবেন বিমানের বোর্ড দ্বারা চলে। বোর্ড বলছে পাইলটের কথা। একজন আরেক জনের ওপর দায়িত্ব দিচ্ছে। তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্ত কমিটি হয় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য। এর আসল ঘটনা কী আমরা জানতে পারব? তিনি বলেন, কত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিমানমন্ত্রী গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন। তার কথার সাথে আমরা একমত নই। সবকিছু এত ছোট করে কেন দেখা হয়। নিচের দিকের কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কর্মকর্তাদের কিছু হয় না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, সাধারণ মানুষ বিমানে চড়ে। তাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে বিমানের বোর্ড। বোর্ড মিটিংয়ে তারা এমপিদের চেয়ে বেশি টাকা নেন। বিমানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর প্রতিকার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষ তাহলে কোথায়?
জাতীয় পার্টির আরেক এমপি আবু হোসেন বাবলা বলেন, বিমানের কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছে। কর্মকর্তাদের কিছুই হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েক দিন আগে সউদী আরব থেকে ফেরার সময় রানওয়েতে ধাতব বস্তু পড়ে ছিল। ২০ মিনিট দেরিতে প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। বিমানমন্ত্রীকে বলব মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্র্রীয় পতাকাবাহী বিমানের এই করুণ দশা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির পেছনে অন্য কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
দুই এমপির এমন বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানের জরুরি অবতরণ প্রত্যেককে নাড়া দিয়েছে। এটা নিয়ে আরো আলোচনা হতে পারে। আরো কঠিনতম সিদ্ধান্তে আসা উচিত। একই কথা বলেন বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বিমানের ওই ঘটনা নাশকতা কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।