Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় : খাদ্যমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩৪ পিএম | আপডেট : ৭:৪০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক প্রতিপক্ষ নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানেনা। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোন প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারনা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেওযা থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না। এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন। চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবারহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবেনা বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেওয়া হয় এমন এক বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১১ টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়। বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক ছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারনে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাজারে মিনিকেট নামে চাল নেই। অনেকে বলেন মিলাররা চাল কেটে সরু করেন। এটা সত্য নয়। চাল সরু করতে গেলে ভেঙ্গে যায়। তবে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে পোলিশ করে চকচকে করা হয়। এসময় তিনি ধান চালের দাম নির্ধারণে মিলারদের প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ জানান। খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, মিলারদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোক্তাদের কাছে জানিয়ে দিতে হবে যে মিলগেটে আজ কত টাকা দামে চাল বিক্রয় হলো। তাহলে খুচরা বিক্রেতা যে দাম বাড়ানোর জন্য মিলারদের দোষ দেয় সেটা থেকে মিলাররা মুক্তি পাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাদ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ