Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বজ্রপাতে উল্লাপাড়ায় ৯ জনসহ নিহত ১০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৯ এবং বগুড়ার শাজাহানপুরে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৬ জন। আমাদের জেলা সংবাদদাতা ও ব্যুরো প্রধানের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন- সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে একই পরিবারের পাঁচ জনসহ সাত জন কৃষি শ্রমিক ও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. উজ্জল হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকেই সাত জনের লাশ উদ্ধার করেছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পথে আরও দু’জন মারা যান। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ফজলু রহমান জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারে রয়েছে পাঁচজন তারা হলেন- উপজেলার শিবপুর গ্রামের শমছের আলী, মোকাব্বর আলী, আফসার আলী, মুন্নাফ হোসেন, শাহীন আলী। এছাড়া পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামে রয়েছে চারজন তারা হলেন- শাহ আলম, আব্দুল কুদ্দুস, রতœা খাতুন ও মোসা. আউলিয়া। উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, বজ্রপাতে ঘটনা স্থলেই সাত জন মারা গেছেন। আর অন্যরা মারা গেছেন হাসপাতালে নেয়ার পথে।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাটিকোড়া গ্রামে এক সঙ্গে ১১ কৃষক মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ মেঘ ঘনীভূত হলে পাশের সেচ মেশিন ঘরে আশ্রয় নেন তারা। তখন বজ্রপাত হলে সবাই চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন সেখানেই সাত জন মারা গেছেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পথে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিস আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও ৪ জন।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের বৈঠাপাড়া এলাকায় জমিতে কাজ করার সময় গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে বজ্রপাতে হোসেন আলী প্রাং নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হোসেন আলী ঐ এলাকার ইফরান আলীর ছেলে। এ সময় নিহত হোসেন আলীর বাবা ইফরান আলী ও একই এলাকার মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন তালুকদার আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন । ওসি আরও জানান, নিহত আলী হোসেনের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আহত দুইজনের চিকিৎসা চলছে।

মাদকের টাকার জন্য মাকে মারধর করায় বড় ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা মাটিচাপা দেয় বাবা
নোয়াখালী ব্যুরো
বেগমগঞ্জ উপজেলায় হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখা এক যুবকের লাশ তিন দিন পর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ও ভাইসহ পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহতের বাবা বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়া ও ছোট ভাই এমাম হোসেন। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাকিল ওই এলাকার বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়ার ছেলে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে শাকিলকে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হত্যা করে। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিহতের লাশ দাফন ছাড়া মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এ বিষয়ে পুলিশ নিহতের বাবা বাবুল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তার ছেলে শাকিল ২০ হাজার টাকা না পেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। গত বুধবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। তারপর পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায় নানা কারণে অত্যাচার করত। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ওই কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে।
এসপি আরও জানায়, পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের নিহতের ভাই এমাম হোসেন জানায়, নিহত শাকিল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকার জন্য গত শনিবার ১০টার দিকে সে তার মা ফাতেমা বেগমকে মারধর করে। এতে তার মা অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই সে শাকিলকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে। পরে তার বাবাসহ রাতের আঁধারে লাশটি পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ