Inqilab Logo

রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পারিবারিক পরিবেশের প্রভাব

| প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খোদেজা খাতুন : সমাজবদ্ধ জীবনের মূল উৎস- পরিবার। পরিবারের প্রতিটি মানুষ একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ, হাসি-কান্না ইত্যাদির প্রভাব বলয় তৈরি করে। অর্থাৎ মানব জীবনের ভাল-মন্দ এ দুটো দিকই উৎসারিত হয় পরিবারকে কেন্দ্র করে। তাই সহজেই অনুমেয় পরিবারের প্রভাব বলয়ের বিস্তৃতি কত বিশাল পরিসীমা বেষ্টিত এবং কত গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক হৃদ্যতা, সহানুভূতি ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে সুখ-শান্তিময় আদর্শ পরিবার গড়ে উঠতে পারে। সে জন্য ইসলাম আমাদের সর্বপ্রথম সদাচারী, সম্প্রীতিশীল ও দায়িত্ববান হওয়ার নির্দেশ দেয়। পরিবার স্বামী-স্ত্রীর জীবনধারা দিয়েই শুরু। সাথে সাথে সদাচারী হওয়ার কাজটি তাদের দিয়ে শুরু হওয়ার তাগিদ এসেছে। দু’জনের জ্ঞান-প্রজ্ঞা, দায়িত্ব-সচেতনতা, সদাচারী-নিষ্ঠতা থেকে আদর্শ সমৃদ্ধশালী পরিবারের ব্যাপ্তি লাভ করে- সুসন্তান, সুনাগরিক সুশীল সমাজের ভিত্তি রচিত হয়। অর্থাৎ দুজনই (স্বামী-স্ত্রী) সদাচার ও দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এখানে কেউ-কারোর উপর প্রাধান্য রাখে না- কেননা সৎ-সঠিক কাজ করার জন্য কোরআনের নির্দেশ নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করে আসেনি। জগৎ-প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে ‘মানুষ’ সম্বোধন করে বলা হয়েছে ‘ভাল কাজ যা করলে তার প্রতিফল তোমার আবার খারাপ কাজ যা করলে তার প্রতিফলও তোমার।’ অন্যদিকে পবিত্র কোরআনে ‘নারী-পুরুষ’ সমতা এনে বলা হয়েছে ‘নারীর উপর পুরুষের যতটুকু অধিকার-পুরুষের উপরও নারীর ততটুকু অধিকার।’ অধিকন্তু জ্ঞান অর্জন ছাড়া মানুষ- মানুষ হয় না। সে প্রেক্ষিতে নির্দেশ এসেছে ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি নারী-পুরুষের জন্য ফরজ’। এই যে সুনিশ্চিত ফায়সালা- এই যে আদলে- অধিকার পেয়েও সংসার জীবনে ভেদাভেদের দেয়াল তুলে ব্যক্তিজীবনে দুর্যোগ-দুর্ভোগ টেনে এনে সংসার ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে অবলীলাক্রমে যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ব্যক্তি-পরিবারের পরিসীমা পেরিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র সর্বোপরি জাতীয় জীবনে ভীষণ ভীষণভাবে ক্ষতিসাধন করছে। যার নজির প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে এবং এর বিষক্রিয়া জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে দুষ্ট ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন? কিভাবে হবে এর প্রতিকার? কারণ একটাই। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য। আমাদের শিল্প ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে- যেখানে দুনিয়ার কথা আছে সেখানে পরকালের কথা নেই আবার যেখানে পরকালের কথা আছে সেখানে দুনিয়ার কথা নেই। অর্থাৎ প্রকৃত শিক্ষার ক্ষেত্রে বিস্তর ব্যবধান। কোরআন যে বাস্তব-বিজ্ঞানমুখী শিক্ষার ফর্মূলা দিয়ে দুনিয়াকে জয় করে, অধীন করেই পরকালকে পাওয়ার নির্দেশ দিল সেটা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনুপস্থিত। শিক্ষা উন্নয়নের জন্য শত-প্রচেষ্টা শত-উদ্যোগ মাঠে মারা যাচ্ছে। ঘরে ঘরে আজ শিক্ষিত মা-বাবা শিক্ষিক ছেলেমেয়ের মিলন মেলা। তবুও নৈতিকতার অবক্ষয়ের সাগরে তারা ভাসিয়েছে ভেলা। স্বাধীন পরিবারকে শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত করে সাফল্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পরিবারের প্রত্যেকের। অথচ প্রতিনিয়ত আমরা এর বিপরীতমুখী প্রতিচ্ছবি দেখছি। চারদিকে সুন্দর শান্ত, আদর্শ পরিবেশের পরিবর্তে জেগে উঠেছে ক্লান্তি-হতাশা, অবিশ্বাস আর অবক্ষয়। এর পেছনেও ঐ একই করেন- সঠিক শিক্ষার অভাব যা সেই মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে। যা পরিবার থেকে শুরু ও শেষ হওয়ার কথা এবং তা হয়নি বলেই এত অবক্ষয়।
আজ জগৎজুড়ে নারী অধিকার আন্দোলন তুঙ্গে। কত শক্তি, সর্ব সময় ব্যয় করে শত শত শ্রেণীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তবুও আজও পৃথিবীর কোথাও মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট ব্যবস্থা দিয়ে নারী অধিকার রক্ষিত হয়নি বরং তাদেরই সৃষ্ট আইন দ্বারা নারী হয়েছে- অধিকারশূন্য-সর্বস্ব রিক্ত। যেমন ১৯৭৫ সালে মেক্সিকো সিটিতে প্রথমবার জাতিসংঘ নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময় লিঙ্গ সমতা, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, উন্নয়ন কাজে নারীর অংশগ্রহণ ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন ত্বরান্বিত করতে নারীর অবদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এরপর কোপেনহ্যাগেন, নাইরোবি ও বেইজিংয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেইজিং সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ১৭ হাজার নারী-পুরুষ ১২টি বিষয়ের উপর একটি ‘অ্যাকশন প্লাটফরম’ তৈরি করে যার বিষয় ছিল নারী ও স্বাস্থ্য, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, নারী ও সশস্ত্র সংঘাত, নারী ও অর্থনীতি, ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী, নারীর অগ্রগতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি, নারীর মানবাধিকার, নারী ও সংবাদ মধ্যম, নারী ও পরিবেশ এবং মেয়েশিশু। সর্বশেষ ২০০০ সালের ৫ জুন জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অংশগ্রহণকারী ১০ হাজার নারী-পুরুষের সম্মেলনে উক্ত অ্যাকশন প্লাটফরম লক্ষ্য অর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশাল আয়োজনে বিশ্বের সুপার শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- যারা আজ কোমর বেঁধে নেমেছে এ কাজে তাদেরই ঘরে ঘরে নারী অধিকার বঞ্চিতাদেরই অবস্থান। তাদেরই স্ত্রী-কন্যারাই নির্যাতিত-নিঃশেষিত হয়ে পশুসম জীবনযাপন করছে। নারীত্ব রক্ষায় নারী অধিকার সংরক্ষণের কোন নির্ভেজাল-নিñিদ্র সনদ তাদের নেই। যা একমাত্র আল্লাহ প্রদত্ত পাক কোরআনে বর্ণিত আছে। একমাত্র কোরআনই পৃথিবীর বুকে- নারী অধিকার, নারী নিরাপত্তা- নারী শক্তির নিশ্চয়তা ধ্বংস করেছে।
যা পরিবার থেকে শুরু ও শেষ হওয়ার কথা। তা হয়নি বলেই নারীর এমন নাজুক অবস্থা।  আমাদের ভবিতব্য ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কোন ভয়াল দানবের বিষাক্ত দন্ত-নখরের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মৃত্যু চরম সত্য। এর মত সত্য আর হয় না। সাধারণ ব্যক্তিরা কেউ একে কখনও সাদরে আলিঙ্গন করেনি। অথচ আমরা অতি নিকট ভবিষ্যতে এমন ভয়াল দানব মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে যাচ্ছি। এ পরিসরে নবজাতক থেকে বৃদ্ধ বয়সীদের জন্য কোন ভিন্ন বিধিমালা নেই। নবজাতক চলমান অবক্ষয়ের ধারায় জন্ম সূত্রে ভয়াল এইডস জহর ধারণ করে জন্ম নিচ্ছে। অথচ কেন? এই কেনর উৎসস্থল কি? কেমন করে হল? কি হবে এর সমাধান? কে কেড়ে নিল ঐ শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার? উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে যদি এ সকল জিজ্ঞাসার উৎস খুঁজে বের করা যায়। সেটা হলো আল্লাহর জীবন বিধান থেকে দূরে সরে যাওয়া যা পরিবার থেকে শিক্ষা নিয়ে সুন্দর জীবনের অধিকারী হয়ে সুশীল সমাজের জন্ম দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি তবে বিশ্বজুড়ে আজ আবার নারী-অধিকার আন্দোলনের মত এইডস দূর করার আন্দোলন শুরু হয়েছে। যার ঢেউ আমাদের দেশেও ছোট ছোট জানালায় ধাক্কা দিচ্ছে। যাতে সরকারসহ সচেতন মহল সচকিত হয়ে উঠেছে। ঘৃণ্য-জঘন্য কাজটি বন্ধের জন্য যে নৈতিক জীবন বিধান একান্ত প্রয়োজন একথা বা এ সংক্রান্ত কোন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজন যে আছে- বিটিভি কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোকপাত করছেন না। নৈতিক জীবন গঠনের জন্য প্রথম থেকে পারিবারিক সুশিক্ষা-নৈতিক শিক্ষা সকলের জন্য অত্যাবশ্যক হিসাবে নির্ধারণ করতে হবে। এ চিন্তাচেতনামূলক অনুষ্ঠান বিভিন্নভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। সর্বোপরি এইডস বন্ধের একমাত্র উপায় হলো ধর্মীয় অনুশাসনমূলক নৈতিক জীবন। কেননা- ইসলাম পবিত্রতার মাঝে জন্ম নেয়া মানুষটির জন্য পবিত্র সুন্দর শান্তিময় জ্ঞানের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। যারা এইডস বন্ধের আন্দোলনকে উজ্জীবিত করছে মূলত তারা নিজেরাই এ মহামারী রোগের উৎপাদনদাতা। তাই নিজদের গা-বাঁচিয়ে চলতে বিভিন্ন ধাঁচের অনৈতিক কলাকৌশলের ফাঁদ পাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যা আসলে অপচেষ্টায় পর্যবসিত হচ্ছে। আমাদের মুসলিম প্রধান দেশ।  ইসলামই পারে সকল ধর্মের মানুষকে এইডসসহ সকল ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে। সেটা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম/ মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে না। কেন সকল স্তরের পাঠ্যক্রমে ইসলামের সুমহান প্রাপ্তি কোরআন-বিজ্ঞানকে সংযুক্ত করে সকল অন্যায়ের মূল কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এটা অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন। এরপর শিশু অধিকার আন্দোলন। কি মহান নৈতিক ব্রত নিয়ে সুধী সমাজ মাঠে নেমেছে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু সে দিনও আর বেশি দূরে নয় যে দিন এ অধিকার বঞ্চিত শিশুরাই নিজ অধিকারী আদায়ের আগে তাদের মায়েদের অধিকার আদায়ের জোরালো দাবি তুলবে। কেননা মায়েরা অধিকার বঞ্চিত বলেই- অবহেলিত বলেই তারা তাদের শিশুদের অধিকার আদায়ের পথ দেখাতে পারেনি- অধিকার আদায় করে নিতে শেখায়নি। এমনকি মাতৃ স্নেহ পাওয়ার অধিকারটুকু থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। যে শিশু স্বাধীন পৃথিবীতে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য জন্ম নিল। সে ইসলাম বিবর্জিত জীবন ব্যবস্থার পরিম-লের শোষিত সমাজের আবর্তে এসে হলো অধিকার হারা। আজ যে সমাজ শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার ধোয়া তুলো- সে সমাজের তারাই কিন্তু তাদের অধিকার হারা করেছে। তাদের কারণে তারা অধিকার বঞ্চিত হয়নি। আজ আমরা যারা ৪০-৫০ বছরের মা-বাবা তাদের সন্তানরাই কিন্তু সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষারত বা চাকুরীরত বা কোন না কোন কাজে ন্যাস্ত। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয়- আমরা মা-বাবারা কতটুকু নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে তা বাচ্চাদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে প্রকৃত মানুষ করতে পেরেছি। দেশের সামগ্রিক চিত্র দেখে কি বলতে পারি আমরা সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়েছে। সচেতন মহল নিশ্চয়ই বলবেন- না পারিনি? পারিনি! তাই এমন অবস্থায় আমাদের ধর্মের বিধিমালার বিকল্প নেই। ইসলামই বাস্তব ও সর্বাধুনিক ধর্ম।  এ ধর্মের উপর গভীর জ্ঞান-অর্জনপূর্বক পরিবার থেকে তার যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ ফিতরাতের মাঝে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুর জন্মলগ্ন থেকেই উক্ত কাঠামোর জ্ঞানের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি পিতা-মাতাকে। তা হলে আমাদের সন্তানরা আর সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসের শিকার হবে না। ব্যক্তি জীবন থেকে জাতীয় জীবন পর্যন্ত সর্বস্তরে নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধ সম্ভব হবে। তবে পরিবারের সাথে এ সন্তান গুরুদায়িত্ব পালনে সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষা পাঠক্রমে মহান আল্লাহর নির্দেশকে সর্বোচ্চ ত্রুটিমুক্ত ফায়সালা হিসাবে নির্ধারিত করে সত্য মিথ্যা ও ন্যায় অন্যায়ের স্ববৈশিষ্ট্য- এমনভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর বৌব-শক্তির উপর প্রভাব ফেলে। সত্যের পুরস্কার মিথ্যার শাস্তি, ন্যায়ের সুদূরপ্রসারী সুফল আর অন্যায়ের সুদূরপ্রসারী বিষফল সম্পর্কে আমরা পিতা-মাতা, শিক্ষক-অভিভাবক মহল জ্ঞাত বা সচেতন নই বিধায় আমরা প্রত্যেকে সামাজিকভাবে অবক্ষয়ের প্রাচীরের পরিম-লে আবদ্ধ। এ তিমির রাতের ছোবল থেকে বেরিয়ে আসার একটি মাত্র পথ আছে সেটা হলো মানব জীবন বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু ‘পরিবার’ থেকে নির্ধারিত নৈতিক সুশিক্ষার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। কারণ শিশুর প্রথম পাঠশালা হলো পরিবার এবং প্রথম শিক্ষক হলো- পিতা-মাতা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন