পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। লিখিত পরীক্ষা শেষে এখন চলছে মৌখিক পরীক্ষা। এই প্রক্রিয়া শেষে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান। এছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এখন সারা দেশেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির কাজটি অনলাইনে শুরু হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের তথ্য জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষক। এর সাথে নতুন করে আরও ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রার্থীদের তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা শেষে হয়েছে, এখন মৌখিক পরীক্ষাও শেষ পর্যায়ে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলী পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে চালু করা হয়েছিল। সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এখন আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক বদলীয় ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী শিক্ষা অফিসারও অনলাইনের মাধ্যমে বদলী করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই কার্যক্রম।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বদলির আবেদন শুরু করে একটি নির্ধারিত সময় দেওয়া হবে। অনলাইন আবেদন ছাড়া কোনোভাবেই বদলির সুযোগ থাকবে না। তবে মহানগর এলাকার (ঢাকাসহ ১১টি মহানগর) বদলির কার্যক্রম আপাতত বন্ধই থাকবে। মহানগরের বাইরে দেশের অন্যান্য এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এখন বদলির কাজটি হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকের মাঠ প্রশাসনের বদলির কাজও অনলাইনে করা হবে।
সচিব জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। তাই সাধারণ নিয়মে উপজেলার মধ্যেই শিক্ষকদের বদলি হতে হবে, তবে বিশেষ কারণে উপজেলা বা জেলা পরিবর্তনেরও সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে যেসব শর্ত বা নীতিমালা আছে তা পূরণ করতে হবে। যদি কারও শর্ত পূরণ হয় তাহলে অটোমেটিক সেটি হয়ে যাবে। আবার শর্ত পূরণ না হলে অনলাইনে সেটি সাবমিট করা যাবে না।
এর আগে গত ২৭ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে এই বদলি শুরু করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ওই দিন কেবল পরীক্ষামূলকভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নতুন পদ্ধতিতে ১৮টি বিদ্যালয়ে শূন্য পদে বদলি করা হয়। সেদিন বলা হয়েছিল, নতুন এই পদ্ধতিতে আগস্ট থেকে সারা দেশে এই বদলির কাজ শুরু করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
নতুন পদ্ধতিতে বদলির কাজ হবে পুরোপুরি অনলাইনে। নির্ধারিত একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারিত আইডি ব্যবহার করে শিক্ষকদের বদলির জন্য আবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই শিক্ষক বদলির যোগ্য কি না বা কোন বিদ্যালয়ে বদলি হবেন, তা নির্ধারিত হবে।
বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক অনলাইনে আবেদনটি করার পর সেটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনিও ওই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে যাচাই করে দেবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি সেটি যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর করে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি তখন বদলির বিষয়ে আদেশ জারি করবেন এবং শিক্ষক সেটি অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। তখন নিষ্পত্তি না করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।