পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশজুড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ বছরে একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মশাবাহিত এই রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। একই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ২৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর একদিন আগে তিন জনের মৃত্যু ও ২০৮ জন রোগীর হাসাপাতালে ভর্তির তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ২৮৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ২২৪ জন ঢাকায় এবং ৬০ জন অন্যান্য শহরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট সাত হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ছয় হাজার ৫১৬ জন। এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও বছরের মাঝামাঝি এসে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রোগটি। বছরের প্রথম পাঁচ মাস সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম থাকলেও গত তিন মাসে তা আকাশ ছুঁয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে প্রাণহানির ঘটনাও। জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোন মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও পরের তিন মাসে ঘুরে গেছে দৃশ্যপট। জুনে এক জনের মৃত্যু হলেও জুলাইয়ে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় নয়ে। আগস্টে আরও বেড়ে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ছয় দিনেই মারা গেছেন ১০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২০ জনে। এপ্রিলেও নিয়ন্ত্রণে থাকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। মে মাসে সেই সংখ্যা এক লাফে প্রায় আটগুণ বেড়ে হয় ১৬৩ জন। তবে এতে তেমন দুঃশ্চিতার কারণ ছিল না। কারণ এসময়ের ব্যবধানে কোন মৃত্যু নেই।
তবে এর পরের মাসে (জুনে) ৭৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয় একজনের। জুলাইয়ে এই আরও ভয়াবহ হয় পরিস্থিতি। সে সময়ে ১ হাজার ৫৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ভর্তির সংখ্যা আগের মাসের তুলণায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ৩ হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয় ১১ জনের। চলতি মাসের প্রথম ৬ দিনের পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। ৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১৬ জন রোগী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১০৫ জনের। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায়নি। এর আগে ২০১৯ সালে এক লাখের বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।