পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাজার থেকে শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া) দ্রুতই উঠে যাবে। তখন বাজারে আবারও বড় পতন ঘটবে। সেটা ৯৬ বা ২০১০ সালের মতোও হতে পারে। পুঁজিবাজারে এমনই গুজব উড়ে বেড়াচ্ছে। টানা ছয় কার্যদিবস ঊথাণের পর গতকাল রোববার এই গুজবে ভর করেই সূচকের পতণ হয়েছে বলে মত এই খাতের বিশ্লেষকদের। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানিয়েছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়নি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে। যারা বাজারে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
দেশের পুঁজিবাজারের পালে বইছে সূচক-লেনদেন বৃদ্ধির হাওয়া। চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে বাজার কিছুটা টাল-মাটাল হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়ার পর আগস্টের শুরু থেকে উত্থানের ধারায় ফিরে পুঁজিবাজার। এতে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বড় উত্থান দেখা যায় বাজারে। পরের সপ্তাহে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পতন হলেও, পরের সপ্তাহে আবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠনের বিনিয়োগ সীমা শেয়ার ক্রয়মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে উত্থানে ফিরে বাজার। এর মাধ্যমে উত্থান অব্যাহত রেখে আগস্ট মাস শেষ করে পুঁজিবাজার। তবে বাজারে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। যাদের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর অবস্থানে যাওয়ারও ইঙ্গিত মিলেছে। চলতি বছরের ২৮ জুলাই ফেøার প্রাইস চালুর ঘোষণা আসে এবং ৩১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হয় এবং পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, ফ্লোর প্রাইস হলো যেকোনো সেবা বা পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম যা ওই পণ্যের ভারসাম্য বা ভারসমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় যার নিচে দাম নামতে না পারলেও উঠার বিস্তর সুযোগ থাকে। বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবকালে শেয়ার মার্কেটের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯ মার্চ থেকে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারিত দামের নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ার ট্রেড হওয়া বন্ধ করা হয়, যদিও শেয়ারটির দাম যত খুশি বাড়তে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।