পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এই সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একইসঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, এই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি আছে সারা দেশে। এরপর আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে। এই আন্দোলন চলবে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত। বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গঠন করে আন্দোলনকে বেগবান করার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সংলাপের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা এখনও চলছে। আশা করছি দাবিগুলো অল্প সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।
মির্জা ফখরুল বলেন, কর্তৃত্ববাদী গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের হত্যা, গ্রেপ্তারের যে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে, তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে হত্যাকারী ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানাচ্ছি। হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি তাদের এই অশুভ তৎপরতা বন্ধ না করে, তাহলে জনগণের ঐক্যের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো ছলের অভাব নেই্। তারা প্রতিমুহূর্তে ছল তৈরি করে এবং ছল তৈরি করে আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এগুলো তাদের একটা কমন ব্যাপার। আমি সবসময় বলি, আওয়ামী লীগের বডি কেমেস্ট্রি একটা আছে, সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস। সন্ত্রাসে তাদের জন্ম, সন্ত্রাস দিয়ে তারা রাজনীতি করে এবং সন্ত্রাস দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে।
রাজপথের আন্দোলনকে অলরেডি জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাতেই আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। জনসমুদ্র দেখে তারা ঘাবড়ে গেছে, ভয় পেয়েছে। এজন্য তারা পাল্টা ভয় দেখাতে শুরু করেছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আসল কথা হচ্ছে, একটা অনির্বাচিত সরকার দিয়ে এসব হয় না। যারা নির্বাচিত না, যাদের পিপলস সাপোর্ট নেই তাদের তো শক্তি থাকে না। এই সরকারের তো কোনো শক্তি নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমস্যার সমাধান এমনিতে হবে না। তাদের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে হলে তার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য তাকে একটা আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এই আন্তর্জাতিক সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন হেড অব গর্ভমেন্ট তাকেই বিভিন্ন দেশে যেতে হবে এবং যাদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে সম্পর্ক আছে ভারত ও চীন এই দুই দেশকে কনভিনস করতে হবে যে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য। এটা প্রথম কথা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, শক্তি অর্জন করতে হলে সেদিক থেকে মর্টার মারলে, ওদিকেও যাতে মর্টার যায়। সে ব্যবস্থা অবশ্যই তাকে করতে হবে, বলেন মির্জা ফখরুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।