Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা চাই দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:৪০ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশে উন্নয়নের অদম্য গতি অব্যাহত রাখতে চায়। সেজন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা জানি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি দেশের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কচা নদীর ওপর বহুল আলোচিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে এবং জনসাধারণের বিশেষ করে তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত থাকুক।

তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল। কারণ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে জীবিকা ও চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে আসতে হতো। আমি ১৯৯৬ সালে বরিশালের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের জন্য শিকারপুর-দোয়ারিকা সেতু নির্মাণ করে দেই এবং কীর্তনখোলা নদী ওপর ব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিই। গাবখান ব্রিজও আওয়ামী লীগ সরকারের করা। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও একের পর এক সেতু বর্তমান সরকার করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের ফলে ঢাকার সঙ্গে পিরোজপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। জনগণ পিরোজপুরের তাজা পেয়ারা ও আমড়া রাজধানীতে বসেই পাবে। এ অঞ্চলের শীতল পাটিও বিখ্যাত। জেলার বাসিন্দারা অন্যদের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পস্থাপন করতে পারে, যা জেলা ও অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে ব্যাপক অবদান রাখবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা পায়রা বন্দরের উন্নয়নও করবো। অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে আমরা আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার ৭১৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেন বা তার ওপরে উন্নীত করার মাধ্যমে সারাদেশে মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি ৬০০ কিলোমিটার মহাসড়কে চারর লেন বা তার ওপরের লেনে পরিণত করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, সরকার ঢাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার র‌্যাপিড বাস ট্রানজিট, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং ১০ লেনের টঙ্গী সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে আমাদের অর্থনীতি আরও গতি পাবে।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’ নির্মাণ করে। চীন সরকার সেতুটির জন্য প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৬৫৪ কোটি ৮০ লাখ ও বাংলাদেশ সরকার ২৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ