পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসু’র সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগকে এখন আর কেউ ভালোবাসে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে তারা টিকে আছে। তাই ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আইনজীবীসহ টাঙ্গাইল জেলার ১১ জন নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন।
মান্না বলেন, বাংলাদেশে নীতির যে অভাব সেটা নতুন নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই সেটা হয়ে এসেছে। অনেকের ক্ষমতার লোভে বিবেককে বিক্রি করেছে। রাজনীতিতে বড় সংকট। বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করে না। আপনি জিজ্ঞেস করে দেখেন আপনার আশপাশের মানুষদের।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সরকারের পতন হবেই। এই সরকার ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশে কেউ বলবে না যে খুশি আছে। যে সব ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, সে-ও খুশি নয়। এ ভয়ে থাকে যে কখন ক্ষমতা চলে গেল।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, বিএনপির যে কর্মসূচি ছিল তা কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অর্থাৎ সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচি ছিল না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে হামলা চালানো হয়েছিল। এখন গুলি, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়া প্রতিবাদ বন্ধ করতে পারছে না সরকার। এভাবে পারবে না প্রতিবাদ বন্ধ করতে। তিনি বলেন, ‘বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে এখন ৫ পয়সা কমায়। এ সরকার ফোরটোয়েন্টি সরকার। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। ক্ষুধা আমাদের প্রধান সমস্যা। সমস্যা রুখতে প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র।
ডাকসুর সাবেক এ ভিাপ বলেন, বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, এবার আর রাতে ভোট করা যাবে না। এর মাধ্যমে তারা স্বীকার করেছে, এই সরকার ভোট চুরি করেছিল। তারা চোরদের সরকার। তিনি বলেন, এখন কেউ বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা চাই, কেউ বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোট চাই। আমরা চাই, অন্তরবর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভোট। রাজনীতি একটি শিল্প। আমরা কাউকে গালাগালি করব না। তবে চোরকে চোর বলব। আমরা লড়াই করার চেষ্টা করছি, প্রতিবাদ করছি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।