পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী প্রীতি হত্যা মামলার বাদিকে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদি টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলিকে মামলার চার্জশিট থেকে চার জনের নাম বাদ দিতে হুমকি দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি শাহজাহানপুর থানায় জিডি করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডলি সাংবাদিকদের বলেন, গত মাসেও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে মামলার চার্জশিট থেকে চার জনের নাম বাদ দিতে হুমকি দেন। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডলির ব্যক্তিগত ফোনে কল করে যে চার জনের নাম বাদ দিতে বলা হয় তারা হলো- সাগর, সোহেল শাহরিয়ার, মুনসুর ও আশরাফ তালুকদার।
তিনি আরো বলেন, ফোনে হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আগের জিডির বিষয়েও জানানো হয়। তবে ফোনে হুমকির বিষয়ে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এর আগেও জিডি করেছিলেন টিপুর স্ত্রী। এ ছাড়া হুমকি পেয়ে টিপুর অনুসারীরা আরও তিনটি জিডি করেন মতিঝিল থানায়।
ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ বিষয়ে গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, আমরা সার্বিক বিষয়গুলো নজরদাবি করছি। অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি রিফাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, টিপুর স্ত্রীকে ফোনে হুমকি দেয়ার ঘটনায় জিডি নিয়ে ডিবি কাজ করছে। একটি বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে। টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সব যখন বের করে ফেলেছি, তখন জিডির বিষয়টাও নজরে আছে।
জিডিতে ডলির উল্লেখ করেন, গত ২০ আগস্ট দুপুর ১.২৩ মিনিটে আমার ব্যবহৃত মোবাইলে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে ফোন করে আকাশ পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে সাগর, সোহেল শাহরিয়ার, মুনসুর ও আশরাফ তালুকদারদের নাম বাদ দিতে বলে। তখন আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে আবার আকাশ পরিচয় দেয়। আমি তাকে বলি যে, আমি তো কারও নাম দিয়ে মামলা করি নাই। তখন সে বলে বেশি ফালাফালি করিস না। বেশি ফালাফালি করলে তোর হাত পা ভেঙে প্রাণে মেরে ফেলবো। ফের চারজনের নাম বাদ দিতে বলে, না দিলে আরও অনেক লাশ পড়বে বলে হুমকি দেয়।
গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুর আমতলা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। ওই সময় তার গাড়ির পাশেই থাকা রিকশারোহী শিক্ষার্থী প্রীতি নামের আরও একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন টিপুর গাড়িচালক। এ হত্যাকান্ডের পর শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন টিপুর স্ত্রী ডলি। তবে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে টিপু হত্যায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।