পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আইনবহির্ভূত এ ধরনের বক্তব্য না দেয়ারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার সশরীরে বিচারপতি রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চে হাজির হয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত তার এই হলফনামা গ্রহণ করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন। আদালতে মোজাহিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ বি এম আলতাফ হোসেন ও মাহবুব শফিক।
সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি মোজাহিদুল ইসলামের কাছে আদালত জানতে চান, তিনি যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, ভবিষ্যতে তার পুনরাবৃত্তি হবে কি না। জবাবে মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না। পরে মোজাহিদুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।
গত ২৬ নভেম্বর ‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে চক্ষুশিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলুন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে?’
প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ আদালতে তুলে ধরেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে আইজিপি ও এসপি মোজাহিদকে আলাদাভাবে ঐ বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলে হাইকোর্ট। তলব আদেশে আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওই এসপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।