Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুচরা বাজারে প্রভাব নেই

পাইকারিতে কিছু পণ্যের দাম কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে মুরগীর দাম। লবণের দামও বেড়েছে। কমেছে ডাল, চিনি ও চালের দাম। তবে যেসব নিত্যপণ্যের দাম কমেছে তার কোন প্রভাবই নেই খুচরা বাজারে। একারণে দাম কমার স্বাদ পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে মণপ্রতি খোলা চিনির দাম বেড়েছিল ১৫০ টাকা। সেসময় খুচরা দোকানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এখন পাইকারিতে বর্ধিত দাম কমলেও খুচরায় ৯০-এ আটকে আছে চিনির দাম। এছাড়া খুচরা বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও এলাকার মুদিদোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ দোকানে খুচরা এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। যদিও কিছু কিছু এলাকার বাজারে চিনির দাম ২-৩ টাকা কমও রাখা হচ্ছে। তবে সেগুলো ওই বাজারের স্থানীয় পাইকারি দোকান। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে পাইকারি পর্যায়ে মণপ্রতি (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগেও ২০০ টাকা বেড়েছিল। সে হিসাবে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি সর্বোচ্চ ৮২ টাকা পড়ছে। যা খুচরায় এসে ৮ টাকা ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের কেজিতে দাম কমেছে ছয় টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মোটা চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে মাঝারি ধরনের অর্থাৎ লতা ও পাইজাম চালের দাম কমেছে কেজিতে ৪ টাকা। গত সপ্তাহে যে মিনিকেট ও নাজির চাল ৭৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যেত, সেই একই চাল এই সপ্তাহে অর্থাৎ গতকাল শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে মাঝারি সাইজের যে চাল ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন, এই সপ্তাহে সেই একই চাল বিক্রি করছেন ৫৮ টাকা কেজি দরে। আর ৭৫ টাকা কেজি মিনিকেট ও নাজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। শুধু চিকন চালই নয়, খোলা সাদা আটার দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। গত সপ্তাহে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা আটা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি দরে। কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে খোলা ময়দার। গত সপ্তাহে ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেলও। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১৯২ টাকা।
দেশি রসুনের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। অর্থাৎ গত সপ্তাহের ৮০ টাকা কেজি দরের রসুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি শুকনা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুকনো মরিচ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে জিরার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকার মতো। গত সপ্তাহের ৪০০ টাকা কেজি দরের জিরা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। ১৩০ টাকা কেজি দরের তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম কমেছে পেঁয়াজের। গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দামও কমেছে। বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমে ডজনে ১২০ টাকায় নেমে আসে।
নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি এলেও দাম চড়া। বাজারে সব চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। এই সবজিটি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। বেগুনের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ ও পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। আর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কৈ মাছ। পাবদা মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এছাড়া চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ