পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিএম কাদেরের মুখের লাগাম টেনে ধরতে জাতীয় পার্টির ওপর অশনি সংকেত নেমে আসছে। দলটি ফের ভাঙ্গনের মুখে পড়তে যাচ্ছে। আগামীতে দলটি যাতে ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের মতো আওয়ামী লীগের বি-টীম হিসেবে রাজনীতিতে নাচের পুতুলের ভুমিকা পালন করে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। জিএম কাদের গত কয়েকদিন থেকে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে গণমানুষের দাবি দু:খ দুর্দশা নিয়ে কথাবার্তা বলছেন। একই সঙ্গে সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা, মেগাপ্রকল্পের দুর্নীতি এবং দেশ শ্রীলংকার পথে যাচ্ছেসহ বেশ কিছু কড়া মন্তব্য করেন। এ ছাড়াও গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীরে ছেলের বিয়েতে জিএম কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক টেবিলে বসেছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের সেই খাবারের টেবিলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এসব ঘটনা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা ভালভাবে নেননি। ফলে বেগম রওশন এরশাদকে ব্যবহার করে জিএম কাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে না জানিয়েই দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কাউন্সিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। রওশন এরশাদ বর্তমানে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিক একটি চিঠি গণমাধ্যমকে পাঠান। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করে রওশন এরশাদকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন। ওই কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে গোলাম মসীহ। রওশন এরশাদ ঘোষিত কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে আছেন- পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম। বলা হচ্ছে এসব নেতার অনুমতি নিয়েই রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিলে তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ গতকাল দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে জিএম কাদের ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এবং সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রে মাথা নত করবে না তার দল। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। জাতীয় পার্টি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে। কোনো ষড়যন্ত্রই দলের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না।
কাউন্সিল আহ্বানের চিঠিতে বলা হয়, আমি বেগম রওশন এরশাদ (এমপি) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করছি। এ কাউন্সিল আগামী ২৬ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জি এম কাদেরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দলের গঠনতন্ত্রের ধারা ১২ এবং উপধারা ১/২ অনুযায়ী কাউন্সিলের তারিখ, স্থান ও সময় প্রেসিডিয়াম কর্তৃক নির্ধারিত হবে। তা ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান যিনি প্রেসিডিয়াম এরও সভাপতি কর্তৃক কাউন্সিল অনুষ্ঠানের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এর বাইরে কারও কাউন্সিল আহ্বানের এখতিয়ার নেই।
মূলত এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল। সুবিধাবাদী চরিত্রের কারণে দলটিকে আওয়ামী লীগের বি টীম হিসেবে পরিতিত। জনমতের বিপক্ষে গিয়ে শুধু নিজেদের স্বার্থে ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। একই ভাবে ২০১৮ সালে দলটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে গণবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হলেও মানুষ মনে করে দলটি সরকারের নাচের পুতুল। সরকার যে ভাবে নাচায় সে ভাবে নাচে। কিন্তু দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের তাবেদারি থেকে বের হয়ে আসার চেস্টা করায় দলটিকে ফের দ্বিখন্ডিত করার চেস্টা করা হচ্ছে। দলটির একাধিক নেতা এ প্রসঙ্গে জানানা, জিএম কাদেরের বক্তব্যে সরকার বিক্ষুব্ধ। সরকারের আশঙ্কা জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান রাখলে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে বিগড়ে যেতে পারে। সে লক্ষ্যেই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলটিকে রাখতে পারলে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত রওশন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকও পৃথক জাতীয় পার্টি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।