পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একজন ওয়ার্কশপ কর্মচারী হয়েও নিজেকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলে পরিচয় দিতেন মমিনুল ইসলাম ওরফে মামুন ইসলাম (৩০)। আবার কখনও সহকারী উপ-সচিব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কখনও ব্যাংক কর্মকর্তা আবার কখনও ইঞ্জিনিয়ার। এসব পরিচয়ে সম্পর্ক করতেন বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের সঙ্গে।
এক পর্যায়ে বিয়ে করে কিছুদিন একসঙ্গে থাকতেন ও গোপনে স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও ধারণ করতেন। সেসব ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। অন্তত ১০টি বিয়ে করা মামুন বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে বদলি বাণিজ্য বা মন্ত্রীর বিদেশ সফরে সঙ্গী করার প্রলোভনে প্রতারণার মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এক ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় অবশেষে মামুনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির এসএসপি এস এম আশরাফুল আলম। তিনি জানান, গত বুধবার দিনাজপুরের খানসামা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার মোবাইলে ৫০ এর অধিক মেয়ের সঙ্গে ভিডিওকলে কথোপকথন ও অসংখ্য আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে।
মামুন পেশায় গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী। প্রতারণার জন্য আসল পরিচয় গোপন করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার শরীরের অবয়বের সঙ্গে মিলে যায় এমন শারীরিক গঠনের মুখে মাস্ক পরিহিত কিংবা স্পষ্ট বোঝা যায় না এমন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ের ছবি নিজের ছবি হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি।
ভুয়া ছবি ব্যবহার করে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতেন তিনি। বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। যদি কেউ তার বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিতেন তাহলে মামুন আত্মহত্যা করবে বলে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে বিয়েতে রাজি করাতেন। বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।
এক ভুক্তভোগী মেয়ের সঙ্গে প্রতারক মামুনের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মামুন ভুক্তভোগী মেয়ের নামে কাজী অফিসের সিলমোহরযুক্ত ভুয়া নিকাহনামা প্রস্তুত করে মেয়ের ঠিকানায় কুরিয়ার করে পাঠান। মেয়েটিকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করে আবার মামুনের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে বলেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি সরল বিশ্বাসে মামুনের কথামতো কাজ করার কিছুদিন পর মামুন ওই মেয়ের বাসায় যান। এরপর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে করে কিছুদিন একসঙ্গে বসবাস করেন। ভুয়া বিয়ের পর প্রতারক মামুন অশালীন অবস্থায় ভিডিওকলে আসতে বলতেন। কথোপকথনের ভিডিওকলের স্ক্রিন রেকর্ড করে তা অনলাইনে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করতে থাকেন। এভাবে তিনি মেয়েটির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। মেয়েটি পরে পল্টন থানায় মামলা করেন। সিআইডি জানায়, মিথ্যা পরিচয়ে মামুন প্রেমের সর্ম্পক করে প্রায় ১০ জন মেয়েকে বিয়ে করে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।