পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সব স্থল, সমুদ্র বন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে খাদ্যপণ্যের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থল বন্দরে স্বীকৃত মানের ল্যাব সুবিধা থাকলে ঐসব রাজ্যে দেশের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি সহজ হবে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে বিমান ও সমুদ্র বন্দরে ল্যাব সুবিধা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কৃষিপণ্যের বিশাল বিশ্ব বাজার ধরতে পারবে বাংলাদেশ। তাই এ সংক্রান্ত প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশের বন্দরগুলোতে বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সংরক্ষণ ও সাপ্লাই চেইন দুর্বলতার কারণে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা না থাকায় কৃষকরাও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতের নেওয়ার জন্য জাইকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান আমিন হেলালী।
বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথ কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে দেশে একটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম।
জাইকার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি তেরুয়াকি ফুজি বলেন, বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ খাবারের যোগান নিশ্চিত করা জরুরি। জাইকার আগামী প্রকল্পটি এদেশের খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তেরুয়ারি ফুজি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. রেজাউল করিম রেজনু ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।