Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা অনেক উন্নত করা হয়েছে : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১০:৫২ পিএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা অনেক উন্নত করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা আরো উন্নত এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন তিন হাজার ৪শ’ টনের অধিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ বর্জ্যই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে এসে থাকে। যা পরিবেশসম্মত গাড়ির মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করে ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। বাকি প্রায় ১৬ শতাংশ বর্জ্য (যেগুলো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝাড়ু দিয়ে সংগ্রহ করেন) খোলা ট্রাকের মাধ্যমে রাতে অপসারণ করা হয়।

তিনি জানান, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৫৪টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বর্তমানে ডিএনসিসি মেয়রের নির্দেশনায় আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এছাড়া জনসাধারণ অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন অবৈধ কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নির্মাণ সামগ্রী, গাছের ডাল-পালা ও কলকারখানার বর্জ্য রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। এগুলোও পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসি’র পক্ষ হতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ডিএসসিসি দৈনিক দুই হাজার ৮শ' থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে। এরপর এগুলো মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। ডিএসসিসির বর্জ্য সংগ্রহের হার ৯০ শতাংশের অধিক। বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে ৭০/৮০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন এসটিএস বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে এসটিএস অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাইমারি কালেকশান সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োজিত করে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটের আবর্জনা এসটিএস বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করে ল্যান্ডফিলে অপসারণ করা হচ্ছে। যার ফলে যেখানে সেখানে কন্টেইনার রাখা এবং খোলা ডাস্টবিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে নগরবাসী দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী উপভোগ করছেন।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য পৃথকীকরণ ও রি-সাইক্লিং প্লান্ট, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জৈব সার, বায়োগ্যাস প্রভৃতি নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ