পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে দীর্ঘ দিনের জোটসঙ্গী বিএনপি থেকে আলাদা হয়ে পথ চলার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এক ঘরোয়া সভায় দেওয়া তার ওই অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে চলছে ব্যাপক আলোচনা। একেবারে চায়ের কাপে ঝড় উঠার মতো অবস্থা। তবে এনিয়ে জোটের প্রধান বিএনপি কোন কথা বলছে না। গতকাল বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর জোট ছাড়ার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবকে প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলবেন না বলে জানান।
এই দুই দলের প্রায় দুই যুগের রাজনৈতিক গাঁটছড়া ভেঙে যাওয়া নিয়ে বিশ্লেষকরা নানান পর্যালোচনা করছেন। ২০দলীয় জোট থেকে জামায়াতের সরে দাঁড়ানোকে রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণের আভাস হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে দেশের চলমান রাজনীতিতে এটি নতুন পরিবর্তন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে জোট ছাড়া নিয়ে জামায়াতের নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।
তারা বলছেন আমীরে জামায়াতের বক্তব্যে ঝোট ছাড়ার স্পষ্ট কোন ঘোষণা নেই। তিনি আগামী নির্বাচন এবং চলমান আন্দোলনের বিষয়ে দলীয় করনীয় সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেছেন। তিনি তার বক্তব্যে সামনের নির্বাচনী রাজনীতিতে নিজেদের মতো করে মাঠে নামার কথা বলেছেন। এ ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনে গেলে জামায়াতও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেবে।
এ বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমীরে জামায়াতের বক্তব্য একটি দলীয় বৈঠকে দেওয়া। এটা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের কথা নয়। আমাদের কোনো অফিসিয়াল বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করে থাকি। এই জাতীয় কোনো বক্তব্য আমরা প্রচার করিনি। তারপরও বলবো তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে জোট ভেঙে দেওয়ার কথা বলেননি। তিনি নিজের দলের করনীয় সম্পর্কে বলেছেন। একটা জোটের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দল থাকে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মত থাকতে পারে। এখানে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি’র কোনো টানাপড়েন যাচ্ছে না। আমরা সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে অবশ্যই মাঠে থাকব।
জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দলের আমীরের ওই বক্তব্য ছিল কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া এক বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা। দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল হলো বিএনপি। তাই এই জোট থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। জোট ভেঙে গেছে এটা আমরা কীভাবে বলি।
ঘরোয়া একটি দলীয় ভার্চ্যুয়াল সভায় দেওয়া বক্তব্যে জামায়াতের আমীর নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমরা এত দিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। ছিলাম বলে আপনারা হয়তো ভাবছেন কিছু হয়ে গেছে নাকি? আমি বলি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দল যারা আছে, বিশেষ করে প্রধান দলের (বিএনপি) এই জোটকে কার্যকর করার কোনো চিন্তা নাই। বিষয়টা আমাদের কাছে স্পষ্ট দিবালোকের মতো এবং তারা আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন বাস্তবতা হচ্ছে নিজস্ব অবস্থান থেকে আল্লাহর উপর ভর করে পথচলা। তবে হ্যাঁ, জাতীয় স্বার্থে একই দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব ইনশা আল্লাহ।
জামায়াতের আমীর আরও বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি) সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি, এর সাথে তারা ঐকমত্য পোষণ করেছে। তারা আর কোনো জোট করবে না। এখন যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।