Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছুরিকাহত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : খুলনায় মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বের হওয়ার সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শনিবার) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রার্থী অজয় সরকারের বাম হাত ও পেট কেটে যায় এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় গাড়ি লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটে। হামলার জন্য খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের অনুসারীদের দায়ী করেন অজয় সরকার।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানান, শনিবার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। বাছাইয়ের সময় উপস্থিত হয়ে অজয় সরকার তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান। পরিবেশ অন্য রকম দেখে সদর থানার ওসিকে অতিরিক্ত পুলিশ আনতে বলা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর প্রার্থী নিজের ইচ্ছাতেই নিচে নেমে যান। এর পরের ঘটনা শুনিনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী অজয় সরকার বলেন, পুলিশের নিরাপত্তায় নিচে নামার পরও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের অনুসারীরা হামলা চালায়। তারা একাধিকবার ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপ দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘিরে রাখায় একটি কোপ বাম পাশে লাগে। দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার সময় তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। গুলি দু’টি গাড়ির পেছনের বনেটে লেগেছে। পরে আর ভয়ে হাসপাতালে যায়নি; সোনাডাঙ্গা আবাসিকে এক আত্মীয়ের বাসায় বিশ্রাম নিয়ে ডুমুরিয়ায় গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। দু’টি শব্দও শুনেছি। তবে সেটা গুলি কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারব। মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, “রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় চত্বরে অপরিচিত কিছু লোক সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেনÑ আমরা দাদা’র সাথে এসেছি। দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের বলেন, হারুন ভাই বয়স্ক লোক, শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন; দাদাকে বলো বসে যাক। একথা বলতেই তারা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তারই লোকজন শর্টগানের ফায়ার করে পালিয়ে যায়।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ