Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অতিরিক্ত সচিবের বইয়ের তালিকা সংশোধন হচ্ছে

আজ বৈঠক বসছে মন্ত্রণালয়ে জনপ্রশাসন সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০২ এএম

সরকারি কর্মচারীদের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে বই কেনার উদ্যোগ নিয়েছে, সেখান থেকে অতিরিক্ত সচিবের বই বাদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে, সেটা অবশ্যই চূড়ান্ত করার আগে আমরা এটা বাদ দেব। জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, এ বিষয়ে আজ সোমবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এরপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য বই কিনতে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এজন্য ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তালিকা এসেছে। এটা আমাদের নোটিশে এসেছে। এটা আমরা দেখছি। এটার বিষয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেবো। এটা অবশ্যই হবে না। তিনি বলেন, হয়তো (তিনি) নাম দিয়েছেন বা কোনো একটি বিষয় এখানটাতে আছে। এটা যখন চূড়ান্ত করা হবে, তখন আমরা অবশ্যই আমরা দেখব। হয়তো প্রাথমিক যে নাম চেয়েছেÑ এটা অবশ্যই ঠিক হয়নি। আমরা দেখব যে, আসলে ব্যাপারটা কী হয়েছে। যদি হয়ে থাকে তাহলে ঠিক হয়নি। আমি যতদূর জানি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
জনপ্রশাসন সচিব তিনি বলেন, সরকারিভাবে বই কেনার তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রমাণিত হলে ওই তালিকা বাতিল করা হবে। মোট ১৪০০ বইয়ের তালিকা হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে।
আলী আজম বলেন, আগামী ৪ বছরের জন্য ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে ১৪০০ বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ২৯টি বইয়ের কথা উঠছে, তা যাচাই-বাছাই হবে, কোনো সমস্যা থাকলে যা করণীয়, তাই করা হবে। গণমাধ্যম থেকেই জানা গেছে, একজনের ২৯টি বইয়ের ব্যাপারটি। মোদ্দা কথা, যা নৈতিকতাসম্পন্ন, তাইই বাস্তবায়ন করা হবে। শুধু ওই ২৯টি বই নিয়ে নয়, সার্বিকভাবেই যাচাই-বাছাই হবে। এমন হতে পারে, প্রাথমিক এই তালিকা যাচাই সাপেক্ষে ১৪০০ বইয়ের তালিকা বাতিলও হতে পারে এবং সুনির্দিষ্ট বিষয় ধরে বইকেনা হতে পারে।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আমরা দেখব যে বইয়ের তালিকা করা হয়েছে, তা গুণগত মান সম্পন্ন কি-না, অথবা একজনের ২৯টি বই মানসম্মত নাও হতে পারে। সব বিষয়াদি পর্যালোচনা করে দেখব। যে সিদ্ধান্ত আসবে সবাইকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। বই কেনার টাকা ৪ বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছর ছোট ছোট করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। গত বছরের অর্থছাড় হয়েছে। যেহেতু ৪ বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে। মাঠ পর্যায়ে বই কেনা শুরু হয়েছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বইকেনা শুরু হয়েছে কি-না। বই কিনতে উপজেলা পর্যায়ের জন্য দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে দুই লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ