পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকীকে খুনের ৮ বছর পরে পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডে ৬ জঙ্গি জড়িত ছিলো। ২০১৪ থেকে ফারুকী খুনের পর থানা-পুলিশ, ডিবি ও সিআইডি কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, জেএমবি সদস্যরা ফারুকীকে হত্যা করেন। জঙ্গি হাদিসুর রহমান সাগর ফারুকী হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যায় অংশ নেওয়া ৯ জঙ্গির নামও বলেছিলেন। তবে আট বছরের মাথায় এসে এখন সিআইডি বলছে, ফারুকী হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে তারা।
মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিসানুল হক বলেন, আগে গ্রেপ্তার ১৬ জঙ্গির ফারুকী হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এখন তদন্তে বেরিয়ে এসেছে জেএমবির মধ্যম সারির কয়েক নেতা ফারুকীর মতাদর্শেক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা নেন। ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে দীক্ষা পাওয়া ৬ জঙ্গি জামিনে এলে তাদের দিয়ে ফারুকীকে হত্যা করিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন জেএমবির নেতারা। ফারুকীকে হত্যা করে তাঁর বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। হত্যায় অংশ নেয়া দুজনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আহলে সুন্নাত যুব পরিষদের ফারুকী দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় দাবি করা হয়, ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী ও জঙ্গিবাদের উস্কানীদাতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণেই ফারুকীকে হত্যা করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি ফিরোজ আলম খোকনসহ নেতৃবৃন্দ এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাত যুবকরা।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন নিহত ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী। ফারুকী হাইকোর্ট মাজার জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।