এফ আর টাওয়ারের ঘটনা : জামিন পেলেন বিএনপি নেতা তাসভীর
রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা তাসভীরউল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো.তোফাজ্জল হোসেন জামিনের আদেশ
চাকরি করতে গিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় অনেককেই। এসব অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। আবার অনেকেই কখনো বিতৃষ্ণায়, দুঃখে, হতাশায়, ভয়ে, অভিমানে, রাগে চাকরি ছেড়ে দিতে উদ্যত হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তখন ভাবনায় আসে না, ভাবতে চায় না কিংবা ভাবার জন্য প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কিছু বিষয় মনে রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া ভালো। নিম্নে তা তুলে ধরা হলোÑ
চাকরি ছাড়া আপনার জন্য যতটা সহজ, ভালো চাকরি পাওয়া তত সহজ নয়। আগে চাকরি, এরপর না হয় ছাড়ার চিন্তা। রাগের মাথায় বা ঝোঁকের বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
যার ওপর অভিমান বা রাগ করে চাকরি ছাড়তে চাইছেন, তিনি কি মালিক না কর্মকর্তা তা আগে ভেবে দেখুন। আর যদি তিনি মালিক না হন তাহলে আপনার মতো সে আরেকজন কর্মজীবীই মাত্র। ফলে তার কারণে এত কষ্ট করে পাওয়া চাকরিটা এত সহজে ছেড়ে দেবেন? পরিস্থিতির চাপে চাকরি ছাড়ার আগে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এমনও তো হতে পারে, যার কারণে চাকরি ছাড়তে চাচ্ছেন, তিনিই কিছুদিন পর চাকরি ছেড়ে দিলেন বা বদলি হয়ে গেলেন অন্য কোথাও। তখন কি আপনার আফসোস হবে না। তাই যে কোনো পরিস্থিতি হোক তা আগে নিয়ন্ত্রণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আবার, আপনার সমস্যাটা সাময়িক নাকি স্থায়ী তা আগে ভেবে দেখবেন। সাময়িক সমস্যা হলে সহ্য করার চেষ্টা করুন। স্থায়ী হলে আপনার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে মনে রাখতে হবে চাকরি ছাড়ার আগে নতুন একটি চাকরি পেয়ে এরপর যেতে হবে।
সাধারণ অবস্থায় একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে তিন থেকে চার বছরের বেশি অবস্থান করা কোনো ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞই সমর্থন করবেন না। আপনি চাকরি ছাড়ার ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে চাকরি ছাড়ার মানসিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কর্তৃপক্ষকে আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিন। তারপরও যদি সমাধান না হয়, এরপর ছেড়ে দিন। নতুন চাকরির দায়িত্ব, কর্তব্য, ভবিষ্যৎ সুবিধা-অসুবিধাÑ সব ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।
বর্তমান প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনার চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো পদত্যাগপত্র জমা দিন।
আপনার সব কাজ, হিসাব-নিকাশ, কাগজপত্র, পেশাভিত্তিক ও ব্যবসায়িক অন্যান্য তথ্য অফিসের যথাযথ ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিনÑ যাতে আপনি চলে আসার পর প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতি না হয় বা কেউ বলতে না পারে যে আপনি অপেশাদারের মতো চলে এসেছেন।
প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের ও কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে বিদায় নেবেন। কারণ এই সহকর্মীদের সাথে আপনার সম্পর্ক ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এই সহকর্মীদের সাথেই আপনার আবার দেখা হবে, অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে। এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ভুলবেন না।
পুরনো প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রশংসাপত্র এবং ছাড়পত্র নিয়ে আসবেন। চাকরি ছাড়ার ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠানকে একবার জানিয়ে দেয়ার পর এই প্রস্তুতি নিতে আপনি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। ফলে আগেই প্রস্তুতি নিন, পরে জানান।
আপনার কোনো সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কোনো মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি থাকলে চেষ্টা করুন মিটিয়ে নিতে। প্রতিষ্ঠানের বিষয়গুলো ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। বিদায় নেয়ার আগে ব্যক্তিগত সম্পর্ক উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন।
১ তামান্না তানভী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।