পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিকাশ নম্বর আপডেটের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গত বুধবার জামলাপুর জেলা থেকে মিল্টন ও রিপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মোহাম্মদপুর থেকে মো. ইউছুফ মিয়া ও ফরিদপুর জেলার মালিগ্রাম থেকে মাহবুব কাজীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন ও ৫৭টি বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদু বলেন, একজন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে অভিযোগ আসে যে, তার দোকানের এলাকার ডিএসওর নম্বর থেকে তার কাছে ফোন করে বলেছে যে, বিকাশ হেড অফিস থেকে তাকে কল করা হবে সে যেন তাদের চাওয়া তথ্য দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি তাকে ফোন দিয়ে বলেন, তিনি বিকাশের হেড অফিস থেকে বলছেন। ওই ব্যক্তি ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট একাউন্টটি আপডেটের কথা বলে কৌশলে ভিকটিমের কাছ থেকে ওটিপি কোড সংগ্রহ করে। পরে ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে ১ লাখ ৭০০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।
তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূলহোতা মাহবুব কাজী একজন পেশাদার বিকাশ প্রতারক। বিকাশে প্রতারণা করার উদ্দেশে তিনি একদিন শাহরিয়ার নাফিজ ওরফে মিল্টনকে ফোন করলে কথায় কথায় তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে মাহবুব কাজীর চাহিদা মোতাবেক মিল্টন তার ডিস্ট্রিবিউটর হাউজের আওতাধীন বিকাশ এজেন্ট নম্বরগুলো মাহবুব কাজীকে সরবরাহ করেন। বিনিময়ে তিনি মাহবুবের কাছ থেকে কমিশন পেতেন। এরপর মিল্টনের মাধ্যমে বিকাশের আরেক চাকরিচ্যুত ডিএসও মো. রিপন মিয়াও এই কাজে জড়িয়ে পরে। মাহবুব কাজীর দেয়া বক্তব্য ও তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি এ কাজে খুবই পারদর্শী। অভিযোগ করা ভিকটিম ছাড়া আরও অনেক বিকাশ এজেন্ট ও বিকাশ পার্সোনাল নম্বর থেকে এই প্রতারক চক্র গত ৩ মাসে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ কাজের জন্য তারা পেইড ভার্শন ক্লোনিং অ্যাপস ব্যবহার করে বিকাশের ডিএসওদের নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন এজেন্টদেরকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।