পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরেন্দ্রভূমিতে নতুন জাতের একটি আমের সন্ধান পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত¡বিদরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জৈটাবটতলা এলাকার দিঘা গ্রামে হাসমত আলীর বাগানে আমটির খোঁজ পাওয়া যায়। হাসমত আলীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কল্যাণ পুরে।
নতুন জাতের এই আম দেরিতে পাকে আর খেতেও অনেকটা ক্ষিরশাপাত আমের মতোই। স্থানীয়দের কাছে লেট ক্ষিরশাপাত নামে পরিচিত। সরকারি ভাবে আমটির নামকরণ করা হয়নি। তবে হর্টিকালচারের উদ্যানতত্ত¡বিদরা ‘কল্যাণ ভোগ’ নাম রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের দাবি, অসময়ে ক্ষিরাশাপাত আমের চাহিদা মেটাবে এ নতুন জাতের আমটি। আর এই আম সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে গাছ থেকে পাড়া শুরু হবে।
নাবি জাতের এ আমটি গত ৪ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করছেন হার্টিকালচার সেন্টারের সহকারি উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহিন সালেহ উদ্দিন। তিনি জানান, ‘এই আম গাছের ডাল-পাতা ঘন। গাছটি প্রায়ই ক্ষিরশাপাত আম গাছের মতো দেখতে। মাঘ-ফাল্গুন মাসের মধ্যে মুকুল আসে। আমের খোসা মাঝারি মসৃণ। আমটি পাকলে বোটার দিকে লালচে বর্ণের হয়। আঁটি পাতলা, আঁশও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আমের সর্বোচ্চ ওজন এক কেজিরও বেশি হয় আর সর্বনিম্ন প্রায় ৪০০ গ্রাম। আমের মিষ্টতার পরিমাণ (টিএসএস) প্রায় ২৪ শতাংশ। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে বছরে প্রায় ২০ কেজি আম উৎপাদন হবে। গাছের বয়সের সাথে আমের ফলনও বাড়বে। একটি ভালো জাতের আমে যা বৈশিষ্ট থাকা দরকার এ আমে সব আছে।’
বাগানের মালি শাহিন আলী তিন বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন, সাধারণত অনান্য আমের মুকুলের সময় এ গাছেও মুকুল দেখা দেয়। মুকুল আশার ৫ থেকে ৬ মাস পর আম পাকতে দেখা যায়। আমটির বোটা শক্ত। খেতে খুব সুস্বাদু।’
বৃক্ষপ্রেমি আব্দুর সবুর সুজন বলেন, আমটি নতুন জাতের এবং স্বাদও ক্ষিরশাপাতের মতো। এ আম যেহেতু দেরিতে পাকে তাই লেট ক্ষিরশাপাত নামে আঞ্চলিক ভাবে ডাকি। আমটির আকার আকৃতি অনান্য আমের চেয়ে বড় ও গোলাকার। আর রোগ বালাই খুব কম। আমের স্বাদ গন্ধ অতুলনীয়।
প্রায় ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান করছেন হাসমত আলী। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার ভাই মাইনুল ইসলামের এক বন্ধু ভারতে এ আম খেয়ে মুগ্ধ হয়। ভাইয়ের বন্ধু ওই গাছের সায়ন (চারা তৈরীর উপযোগী ডগা) সংগ্রহ করে দেশে আনেন। ওই সায়ন দিয়ে একটি কলম বাঁধা হয়। এ আমের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বাগানে এখন প্রায় ৩০টি গাছ আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচারের উপ-পরিচালক কুমার প্রামাণিক ইনকিলাবকে বলেন, আমটির স্বাদগুণ ক্ষিরশাপাত আমের সাথে তুলনা করা যায়। এই কথা বলাই যায় অসময়ের ক্ষিরশাপাত আম। জেলা প্রশাসকের নিকট আমটির ‘কল্যাণ ভোগ’ রাখার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিগগির আমটির নতুন নামকরণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।