পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইনে মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কর্মীদের নতুনভাবে কণ্ঠরোধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ আজ বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, এই নিবর্তনমূলক আইন সংবাদপত্রের মুক্ত মত প্রকাশে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। কোন কালা কানুন দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা দেশবাসী মেনে নিবে না। অবিলম্বে সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইন বাতিল করতে হবে।
খেলাফত মজলিসঃ সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইনে মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কর্মীদের নতুনভাবে কণ্ঠরোধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
একযুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ১৯৭৪ সালে পাশ হওয়া বিদ্যমান আইনে সাংবাদিকরা অন্যায় করলে কেবল তিরস্কার করার ক্ষমতা ছিল প্রেস কাউন্সিলের। কিন্তু নতুনভাবে আইনটি সংশোধন করে সরকার মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে মূলত গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে সংশোধনের প্রক্রিয়া চললেও এতে সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে আইনটির খসড়া প্রকাশ করা হয়নি এবং মতামতেরও সুযোগ রাখা হয়নি। ডিজিটাল নিরাত্তা আইন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন সহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা সঙ্কুচিত করা হয়েছে। সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে পাশ হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরেকবার রূদ্ধ হয়ে আসবে। আমরা অবিলম্বে এই সংশোধিত নিবর্তনমূলক আইন প্রত্যাহার চাই। পাশাপাশি গণমাধ্যমের উপর নিপীড়নমূলক সকল বিধি-বিধানও বাতিল চাই।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগঃ সাংবাদিকদের ওপর জরিমানার বিধান রেখে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধিত) আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃদ্বয়। দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের আইনি সংস্কার উদ্দেশ্যমূলক ও সরাসরি গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। এই নিবর্তনমূলক আইন সংবাদপত্রের মুক্ত মত প্রকাশে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। জাতির বিবেক সাংবাদিক ও সমাজের দর্পণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলে গোটা জাতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিঃ প্রেস কাউন্সিল আইন বাতিল করে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদেরকে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা সারোয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার। এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে রাষ্ট্রের দর্পণ। কোন কালা কানুন দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা দেশবাসী মেনে নিবে না। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে এই কালা কানুন তথা প্রেস কাউন্সিল আইন বাতিল করার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টিঃ বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী এবং মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, প্রেস কাউন্সিল সংশোধিত আইনে সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রাখা বিষয়টি দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। এটা স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুষ্পষ্ট হস্তক্ষেপের শামিল এবং স্বৈরাচারী আচরণ। অংশীজনের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সংশোধনী আনা দরকার। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কালাকানুন দিয়ে দমন পীড়ন চলে কিন্তু জনকল্যাণ করা যায় না। তারা এই আইনের বিরোধিতা করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।